রাজনীতি

নির্বাচনে গিয়ে অস্বস্তিতে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতারা

নির্বাচনে গিয়ে অস্বস্তিতে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতারা

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনের আমেজ। পাড়া–মহল্লা ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার–ব্যানারে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল এতে অংশ না নিলেও দলটির সাবেক কয়েকজন নেতা অংশ নিচ্ছেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বেশিরভাগ সাবেক বিএনপি নেতাই স্বস্তিতে নেই।

শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি তারা। কয়েকজনের জন্য ভোটযুদ্ধ সহজ হলেও কারও কারও মাথাব্যাথার কারণ আওয়ামী লীগ ও স্বতস্ত্র প্রার্থীরা।বিএনপির সাবেক নেতাদের মধ্যে বেশি আলোচনা শাহজাহান ওমরকে নিয়ে। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে গিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক মন্ত্রী ও ৪ বারের এই সংসদ সদস্য। ঝালকাঠি-১ আসনে তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মনিরুজ্জামান। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থনে সহজেই জিততে পারেন ওমর।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। স্বতন্ত্র হিসেবে আছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়াও।সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তবে জয়ের আশায় সাবেক বিএনপি নেতা শমসের।বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান লড়ছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনে। তার লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি আবদুল কাহার আকন্দর সঙ্গে। কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।

তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আবুল হাশেম খান হাসপাতালে ভর্তি। বিএনপি–জামায়াত কর্মীরা সমর্থন দিলে জিততেও পারেন শওকত।এছাড়াও সারা দেশে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম ও বিএনএফের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির বেশ কজন সাবেক সংসদ সদস্য।গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ইসির নিবন্ধিত মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচনে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।