লাইফ স্টাইল

অবাঞ্ছিত আঁচিল থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে

সাধারণত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আঁচিল বেশি হয়। আবার যাদের ওজন বেশি, যারা স্থূলতার সমস‌্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এর কারণ হলো, স্থূলতা বেশি থাকলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট‌্যান্স ঘটে। এতে করে ডায়বেটিস হয়। ডায়বেটিস হলে শরীরে আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

মাঝে মাঝে কিছু কিছু আঁচিলের রং বদলে যায়। একটু লাল হয়ে যায়, ইনফেকশন হয়। তখনই বিষয়টি উদ্বেগের। এছাড়া অন‌্য ধরনের কিছু আঁচিল রয়েছে। শুরুতে দেখতে আঁচিলের মতোই লাগে। তবে অনেক বছর ধরে থাকতে থাকতে, তার রং এবং আকারে পরিবর্তন দেখা দেয়। এটা ‘মেলানোমা’ হতে পারে।

তবে মনে রাখবেন, ভারতীয় উপমহাদেশে মেলানোমা খুবই বিরল। আমাদের জেনেটিক‌্যালি হওয়ার সম্ভাবনা সে অর্থে নেই।আবার স্কিনের ক‌্যানসার বেসাল সেল কার্সেনোমা (বিসিসি) এক জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটি একটু বয়স্কদের ক্ষেত্রে, মুখে-গালের ওপর দেখা যায়।

যদি দেখেন শরীরের কোনো আঁচিল অনেক বছর ধরে ছিল, কিন্তু সম্প্রতি (গত দু’তিন মাসের মধ্যে) তা আকারে বেড়েছে কিংবা রঙে বদল হয়েছে, তাহলে সতর্ক হোন। আগে কোনো একটি আঁচিল কালো রঙের ছিল, এখন কিছুটা বাদামি বা নীলচে লাগছে, বা ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে রক্ত চুঁইয়ে বেরোচ্ছে– এক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখান। তার পরামর্শ নিয়ে একটা ‘বায়োপসি’ করে জানুন, সেটা ‘ম‌্যালিগন‌্যান্ট’ কি না?

বিশেষ কোনও জায়গায়…

অনেক সময় আঁচিলের মতো উপবৃদ্ধি যৌনাঙ্গে দেখা যায়। দেখতে আঁচিলের মতো হলেও আসলে ‘স্কিন ওয়ার্ট’ হয়। কিছু বিশেষ ধরনের ‘ওয়ার্ট’ আছে, হিউম‌্যান প‌্যাপিলোমা ভাইরাসের মাধ‌্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাস যৌন সংসর্গ থেকে ছড়ায়। অবিলম্বে চিকিৎসা করাতে হবে। না হলে অনেক বছর পরে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ বলে এক ধরনের ম‌্যালিগনেন্সি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কেমন হবে চিকিৎসা

মূলত সার্জিক‌্যাল ট্রিটমেন্ট। লেজার দিয়ে তুলে ফেলা হয়। ওষুধে খুব একটা কাজ হয় না। স্কিন ক‌্যানসার বলে নিশ্চিত হলে প্লাস্টিক সার্জনকে দিয়ে পুরোটা কেটে বাদ দিতে হবে। আঁচিল ‘ম‌্যালিগন‌্যান্ট’ না হলে ও ‘স্কিন ওয়ার্ট’ হলে ‘ইলেক্ট্রোকটারি’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তুলে ফেলতে হবে। যৌনাঙ্গের ওয়ার্ট লেজার দিয়ে সরানো যায়।

%d bloggers like this: