জাতীয়

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি অস্ট্রেলিয়ার এমপির

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি অস্ট্রেলিয়ার এমপির

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘ বা অন্যান্য স্বনামধন্য সংস্থার স্বাধীন তদারকি গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে দাবি জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এমপি আবিগালি বয়েড। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে ‘অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস’ দলের এমপি আবিগালি বয়েড গত ৩০ নভেম্বর স্পিকারের উদ্দেশ্যে প্রথম পয়েন্টে বলেন-

এই হাউস যেনো নোট করে যে-

(এ) যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ পিস অনুযায়ী ১৫ বছরেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেটিকে ব্যাপকভাবে বৈধ বলা হয়েছিল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তার ক্রমাগত বক্তব্য সত্ত্বেও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের দুটি কারচুপি এবং বিতর্কিত নির্বাচনের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

(বি) স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব, রাজনৈতিক দমন এবং বিরোধীদের উপর ক্র্যাকডাউনের জন্য ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করেছে৷ এর বৈধতা এবং প্রতিনিধিত্বমূলক প্রকৃতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নেতৃস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৮ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক অতিরিক্ত বল প্রয়োগ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

(সি) শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে, দেশটির বিরোধী দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যেকোনো আভাসকে চূর্ণ করে দেয়। শুধু গত তিন সপ্তাহেই দশ হাজারের বেশি গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এ ধরনের দমন ভোটারদের নির্বাচন করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে, নির্বাচনী প্লেয়িং ফিল্ডকে মারাত্মকভাবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে নিয়ে যায়।

দ্বিতীয় পয়েন্টে অস্ট্রেলিয়ান এমপি বলেন, এই হাউস যেনো অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে এই আহ্বান জানায় যে-

(এ) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘ বা অন্যান্য স্বনামধন্য সংস্থার স্বাধীন তদারকি গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করতে। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের তত্ত্বাবধান অত্যাবশ্যক যা (নির্বাচনকে) বেআইনি অনুশীলন এবং হস্তক্ষেপমুক্ত করবে।

(বি) বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য সাহায্য করতে, যিনি অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ এবং তার অধিকার থেকে বঞ্চিত।

(সি) বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে চলমান ব্যর্থতার জন্য শেখ হাসিনা, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্য এবং গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড স্যাংশন’ আরোপ করতে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এই শক্তিশালী বার্তা হিসেবে কাজ করবে যে অস্ট্রেলিয়ান সরকার মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে।

(ডি) স্বচ্ছতার অভাব, রাজনৈতিক কর্মীদের দমন এবং কারচুপির নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য সমমনা দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে।

আরও খবর

Sponsered content