রাজনীতি

অস্ত্রোপচারের পর এখনও ঝুঁকি মুক্ত নন খালেদা জিয়া

হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দুদিনের মাথায় রোববার অস্ত্রোপচার করে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থা কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে, অপারেশন পরবর্তী ঝুঁকি থেকে এখনও তিনি মুক্ত নন।বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বর্তমানে খালেদা জিয়া কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবক্ষেণে রয়েছেন।

 

নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছেন চিকিৎসকরা। পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখনও তিনি ভারি খাবার খেতে পারেন না। তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে তাকে।গত রোববার বিকালে পেসমেকার বসানোর পর সোমবার খালেদা জিয়াকে করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এই পেসমেকার শরীরের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হতে হবে। এটা রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় লাগানো হয়েছে। পেসমেকার প্রথম ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশন করতে হয়, তারপর ৪২-৪৫ দিন অবজারভেশনে রাখতে হয়।

 

হৃদপিণ্ডে লাগানো এই পেসমেকার একটা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। এটা নিয়মিত বিরতিতে হার্টকে সিগন্যাল পাঠায় যাতে হার্ট পাম্প করে।ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়েছে বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান।ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এই পেসমেকার বসিয়ে সাময়িক একটা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

 

বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে ঝুঁকি সেটা খুব একটা কমছে বলে আমরা মনে করছি না।প্রায় ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন থেকে। এর মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগকে বেগম জিয়ার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ মনে করছেন তার চিকিৎসকরা।চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার লিভারে এখন যন্ত্র বসানো হয়েছে। লিভারের রোগই বেগম জিয়ার স্বাস্থঝুঁকির বড় কারণ।

 

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, স্থায়ীভাবে ম্যাডামের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে তার যে বয়স তাতে স্থায়ীভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব কিনা সেটা দেখা প্রয়োজন। যেটি করতে বিদেশ নিতে দেশের বাইরের ডাক্তাররা আমাদেরকে জানাচ্ছেন।

বিএনপি