23 April 2024 , 12:47:18 প্রিন্ট সংস্করণ
রসনের বাম্পার ফলন ও ভালো বাজার দর পেয়ে খুশির ঝিলিক রসুন চাষীদের মুখে। পেঁয়াজ- রসুনের ভালো ফলন ও কাঙ্খিত বাজার দর পেয়ে সাবলম্বী হচ্ছে বেড়ার কৃষক। স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে সাধারণ কৃষকের ঘরে। গতবারের তুলনায় এ বছর রসুনের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি পাবনার বেড়া উপজেলার রসুন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বিঘা প্রতি ২৫-৩০ মণ করে রসুন হয়েছে এবং প্রতি মণ রসুন স্থানীয় হাট বাজারে বর্তমান ভালো সাইজের রসুন ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।সোমবার স্থানীয় কাশিনাথপুর হাটে গিয়ে কথা হয় উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামের কৃষক আজগর আলির সাথে তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের রসুন চাষ করেছিলাম। জমি চাষ, বীজ, সেচ, শ্রমিক ইত্যাদি খরচ মিলে দুই বিঘায় প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতন খরচ হয়েছে।
কিছুদিন আগে বাড়ি থেকে ৪ হাজার ৮শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি, আজ কাশিনাথপুর হাটে ৫ মণ বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছি দামও মণ প্রতি আগের তুলনায় ৫শ’ টাকা বেশি বলছে। বেশ কিছু হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে চলতি মৌসুমে রসুনের বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বছর পেঁয়াজের ও রসুনের কাঙ্খিত দাম থাকায় এবং রসুনের পাঁচ হাজারের উর্ধ্বে মণ দরে রসুন বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা রসুনেরও প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত কবির এ প্রতিবেদককে জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় ভালো রসুনের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এখন আগের চেয়ে অনেকটা সচেতন। প্রত্যেক মাঠে এবার ভালো রসুনের আবাদ হয়েছে। সেই সাথে কৃষকরা দামও ভাল পেয়ে খুশি। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরো সচেতন ও অভিজ্ঞ করে নতুন প্রযুক্তির চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি বিষয়ক স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।