26 March 2024 , 2:10:56 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলিমের জন্য পবিত্র রমজানের এক মাস রোজা ফরজ করেছেন সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা। এ মাসে রোজা রাখায় ধর্মীয় ও চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী নানা উপকারিতা রয়েছে।
একই সঙ্গে শারীরিক উপকারিতা তো রয়েছেই।ফজরের আগ মুহূর্তে সেহরি খাওয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন না খেয়ে থাকায় শরীরে কোনো অসুবিধা হয় না, বরং আরও নানা উপকার হয়।
রোজা রাখার ফলে মন শান্ত স্থির, পরিণত হয়। আবার বিশৃঙ্খলা, ফ্যাসাদ বা অন্যসব জটিলতা থেকেও বিরত থাকায় যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজা রাখলে শরীরে কি কি প্রভাব ফেলে:
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অনেকেরই স্বাস্থ্য অনেক বেশি থাকে। তারা নানা চেষ্টা করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। নিয়মিত রোজা রাখার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় না থেখে থাকা এবং প্রতিদিন একই সময় খাওয়া ও খাওয়ার পরিমাণ ঠিক রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের উন্নতি ও সম্ভাব্যভাবে ডায়াবেটিসের সমস্যা হ্রাস করার জন্য রোজা বেশ কার্যকর। এ জন্য রোজা রাখার ফলে উপকার পাওয়া যায়। তবে যাদের রক্তে শর্করা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা বেশি জটিল, তারা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা রাখবেন।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: রমজানে প্রতিদিন রোজা থাকলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ও বৈচিত্র্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওজন কমা, চর্বি হ্রাস ও বিপাকের ওপর উপকারী প্রভাব পড়ে।
হার্ট ভালো রাখতে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন রোজা থাকর কারণে হৃদরোগের ছোট ছোট কিছু সমস্যা হ্রাস পায়। রক্তচাপ, কোলেস্টরল ও প্রদাহের মতো সমস্যা কমে। এ কারণে রোজা রাখলে হার্টের জন্য উপকারী। তবে যাদের হার্টের সমস্যা বেশ প্রকোপ, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা রাখবেন।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রমজানে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়। প্রতিদিন একই সময় খাবার খাওয়া হয়। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসহ নানা উপকার হয় শরীরের। কারণ, রোজা থাকলে শরীর অটোফ্যাজি নামে প্রক্রিয়া শুরু করে। যা শরীরে কোষ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে থাকে।