5 March 2024 , 2:52:56 প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামে একটি সুগার মিলের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বন্দর নগরীর কর্নফুলী এলাকার ইছা নগরে অবস্থিত এস আলমের সুগার মিলে এই অগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। জানা গেছে, ওই গোডাউনে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো সব পুড়ে গেছে।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির সাংবাদিকদের বলেন, ওই গোডাউনে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো সব পুড়ে গেছে কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, রমজানের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি মজুত করা হয়েছিল। এই চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আগুনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে চিনি আর অবশিষ্ট নেই।
ফলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।একজন কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস গুদামের উপর থেকে পানি ছিটাতে পারছে না। পাশে কিন্তু নদী রয়েছে। পানির অভাব নেই।
হেলিকপ্টারের সাহায্যে আগুন নেভানো হলে হয়তো ফিনিশড গুডের গুদাম রক্ষা করা যাবে।সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে।
এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে আগুন লাগার পরপরই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন ভয়াবহ হলে আরও অন্তত ৮টি ইউনিট মিলে মোট ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের বেশ কয়েকটি ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে এখনো জানা যায়নি।
তদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন এখনও কাজ করছেন।