বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এক স্মার্টফোনেই স্টুডিও ভিভো ভি২৯ ও ভি২৯ই

এক স্মার্টফোনেই স্টুডিও ভিভো ভি২৯ ও ভি২৯ই

স্মার্টফোনেই স্টুডিওর মতো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফিতে স্মার্ট অরা লাইট এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ নিয়ে এসেছে ভিভো ভি২৯ই। ফটোগ্রাফিতে কালার টেম্পারেচার বুঝে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করার মতো গুরু দায়িত্ব এবার নিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর এই স্মার্টফোন।সাথে থাকছে ৬৪ মেগাপিক্সেল ওআইএস রিয়ার আল্ট্রা সেন্সিং ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা ও ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচপি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে।

প্রায় ১৫.৬ মিলিমিটারের অরা লাইটটি বেশ বড় এবং নান্দনিক। প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফির অন্যতম বাঁধা আলোক স্বল্পতা। যাকে দূর করে ত্রিমাত্রিক লাইটিং ইফেক্ট দেবে এই স্মার্ট লাইট। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার পাশাপাশি কাজ করবে ম্যানুয়ালিও। যেকোনো আলোতে কালার টেম্পারেচার ক্যালভিনে পরিমাপ করে দিতে পারবে প্রয়োজনীয় আলো। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে কম বেশি কিংবা রঙ-বেরঙের যেমন আলো থাকুক, অরা লাইটের মাধ্যমে কুল থেকে ওয়ার্ম টোনে আলো ঠিক করে অটোফোকাস করতেই ছবি হবে মানসম্মত। সাথে রয়েছে অসাধারণ সব মোড।

বিশেষ করে সুপারমুন মোডে তোলা যাবে চাঁদের নান্দনিক ছবি। পাশাপাশি সঠিক কালার টোন ঠিক রেখে ফুড মোডে তোলা খাবারের ছবিও হবে প্রোফেশনাল। রোজ গোল্ড এবং ফরেস্ট ব্ল্যাক রঙের স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের ডান ও বাম পাশের স্ক্রিন ব্যাজেল মাত্র ১.৭৫ মিলিমিটার। যা ব্যবহারকারীকে দেবে আল্ট্রা ন্যারো স্ক্রিন ব্যালেজের অভিজ্ঞতা। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৩৯৪ আল্ট্রা হাই পিক্সেল ডেন্সিটি, ২.৫ ডি ফ্লাট স্ক্রিন ব্যবহারে যেন চোখের সুরক্ষা পাওয়া যায় তাই এতে রয়েছে এসজিএস আই কেয়ার ডিসপ্লে সার্টিফিকেশন।

ডিসপ্লেতেই রয়েছে ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। পাশাপাশি এর ১১৫০ নিটস লোকাল পিক ব্রাইটনেস সরাসরি সূর্যের আলোতেও ডিসপ্লেটি ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। ১৬২.৩৫ × ৭৪.৮৫ × ৭.৬৯ ডায়মেনশনের স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৯০ গ্রাম। স্মার্টফোনটির দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে গ্লসি অ্যাপেয়ারেন্স আনতে ব্যাক সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে গ্লাস ব্যাক কভার ম্যাটেরিয়াল। ভিভো ভি২৯ই তে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর। যা মূলত টিএসএমসি প্রসেস, অক্টা কোর সিপিইউ।

সাথে আছে আপডেটেড ফানটাচ ওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেম। এর ৮ জিবি র্যা ম এবং ২৫৬ জিবি রম ম্যামরি বুস্টারের কল্যাণে ৩৬টির বেশি অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে স্মুথলি ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এর স্মার্ট কুলিং সিস্টেমের ফলে রাফ এবং টাফ ব্যবহারেও গরম হবে না ভিভো ভি২৯ই। এর ৪,৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি দ্রুত চার্জের জন্য রয়েছে ৪৪ ওয়াটের টাইপ সি চার্জার। ফলে এবার দীর্ঘক্ষণ চার্জে দেওয়া কিংবা সাথে ভারী পাওয়ার ব্যাংক বয়ে বেড়ানো ঝামেলা শেষ হলো।

ভিভোর অথোরাইজড শো রুমের পাশাপাশি ই-স্টোরে ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ভিভো ভি২৯ই এর প্রি-বুকিং। ৩৬ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে ভিভো ভি২৯ই। তবে প্রি-বুকিং গ্রাহকদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় উপহার। লাকি লটারির মাধ্যমে প্রি-বুকিংকারীরা জিতে নিতে পারবেন চমৎকার হাত ঘড়ি, রিরো ইয়ারবাড কিংবা নেকব্যান্ড ইয়ারফোন। ভিভো প্রসঙ্গে: ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে।

মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন। স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো।

যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।