লাইফ স্টাইল

পুরুষের মুখের যত্ন নিতে সাতটি উপায় জেনেনিন

পুরুষের মুখের যত্ন নিতে সাতটি উপায় জেনেনিন

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত। তবে শীতকারে এর গুরুত্ব দিগুণ বেড়ে যায়। অথচ এ বিষয়টা মেনে চলেন না অনেকেই। বিশেষ করে পুরুষরা বিষয়টিকে ততটাও পাত্তা দিতে নারাজ। কিন্তু পুরুষদেরও উচিত তাদের ত্বকের যত্ন সম্পর্কে সচেতন হওয়া। তাহলে জেনে নিই কয়েকটি উপায়।ত্বকে শুষ্কতা ও মলিনভাব দূর করতে যথাযথ যত্নের প্রয়োজন।রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে পুরুষের ত্বক পরিচর্যার সাতটি ধাপ এখানে দেয়া হল।

পরিষ্কার, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজার আবশ্যক: নারীদের মতো পুরুষের ত্বকের যত্নেও এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করা আবশ্যক। পুরুষের ত্বক দূষণ, গাড়ির ও সিগারেটের ধোঁয়া এবং প্রতিনিয়ত অন্যান্য দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নারীদের তুলনায় পুরুষের ত্বক তৈলাক্ত ও পুরু হওয়ায় সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ভালো পরিষ্কারক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।ত্বক পরিষ্কার রাখতে ও মৃতকোষ দূর করতে ‘ক্লিঞ্জিং’ আবশ্যক। ত্বক পরিষ্কার রাখতে মৃদু ক্লিঞ্জার ব্যবহার করুন।

এটা ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে পুরুষেরা বেশ আলসেমি করে যা তাদের ত্বকের ক্ষতি করে।ত্বক পরিষ্কার রাখলে হোয়াইট বা ব্ল্যাক হেডস এবং ব্রণ থেকে রক্ষা করে। টোনিং করতে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।ময়েশ্চারাইজার ত্বক ফাটা, শুষ্ক ও মলিনতা থেকে রক্ষা করে। খসখসে ত্বক খুবই বিরক্তিকর। এই সমস্যা দূর করতে পারেন ঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে। ঘন ময়েশ্চারাইজার মানেই তৈলাক্ত নয়, অনেক ময়েশ্চারাইজার আছে যা হালকা এবং ত্বক দীর্ঘক্ষণ সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করা: সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিষয়টা অধিকাংশ পুরুষই এড়িয়ে যায়। রোদপোড়াভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে ও কালচে হয়ে যাওয়া ঠেকাতে কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। রোদের পোড়াভাব থেকে বাঁচতে বের হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে মুখের পাশাপাশি হাতেও সানস্ক্রিন লাগান। এতে তা ভালোভাবে শোষিত হবে ও কাজ করবে।

এক্সফলিয়েট করা: ত্বকের মৃতকোষ এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ দূর করতে এক্সফলিয়েট করা উচিত। ত্বক স্ক্রাবিং করা না হলে লোমকূপে ময়লার সৃষ্টি হয় এবং নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়। তাই পুরুষের ত্বকের যত্নে নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা উচিত। ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর হলে তা স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল লাগে দেখতে।

সপ্তাহে একবার মিহিদানার ফেইস-স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এটা ত্বকের মলিনভাব দূর করতে ও মসৃণভাব আনতে সাহায্য করে। এক্সফলিয়াট করার আরেকটি সুবিধা হল এটা ত্বকের লোমের ফলিকল মসৃণ রাখে। তাই কোনো রকম জ্বলাপোড়া ছাড়াই সেইভ করা যায়। সাধারণ ও মিশ্র ত্বকের ময়লা দূর করতে ক্রিম ভিত্তিক স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।

​বলিরেখা এড়াতে: চোখের চারপাশের ত্বকে ঘাম ও তেল উৎপাদন না হওয়াতে শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে যা বলিরেখা ও ভাঁজের সৃষ্টি করে। এই সমস্যা এড়াতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে উন্নত ‘আইক্রিম’ ব্যবহার করুন। বাজারে পুরুষের জন্য নানান আইক্রিম থেকে নিজের পছন্দসই ক্রিম বেছে নিন।

​ঠোঁটের যত্ন: ঠোঁটের দিকেও মনযোগী হওয়া জরুরি। ঠোঁট রোদে পোড়ে এবং শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে দেখতে বাজে লাগে। এই সমস্যা কমাতে উন্নত লিপবাম ব্যবহার করুন। এটা ঠোঁট মসৃণ ও নমনীয় করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আয়নায় ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন ঠোঁটেও বলিরেখা পড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে আসে। যেহেতু পুরুষরা মেইকআপ করে না তাই কোনো কিছু ব্যবহার করে এটা লুকানো সম্ভব না। এ কারণে পুরুষদের দিনের বেলা এসপিএফ সমৃদ্ধ লিপবাম এবং রাতে আর্দ্র ও ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করা উচিত।