লাইফ স্টাইল

রাতে ডিম খেলে কি ক্ষতি হয় জেনেনিন

ডিম এমন একটি খাবার যা কমবেশি সবার ঘরেই থাকে। প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস এটি। তাই অনেকেই সকালের নাশতায় ডিম রাখেন। কেউ কেউ আবার রোজ রাতে একটি করে ডিম খেয়ে থাকেন। তবে বলা হয়, রাতে নাকি ডিম না খাওয়াই ভালো।

এতে পেট গরম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা। আসলেই কী তাই? রাতে কী সত্যিই ডিম খাওয়া উচিত নয়? এতে কি শরীরের ক্ষতি হয়? চলুন জানা যাক পুষ্টিবিদরা কী বলেন-

পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ডিম

১টি ডিম থেকে প্রায় ৭২ ক্যালোরি মেলে। শরীরের এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন রয়েছে। আরও আছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারি সব উপাদান। তাই সুস্থ থাকতে রোজ একটি ডিম খেতেই পারেন।

রাতে কি ডিম খেতে নেই?

পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে ডিম খাওয়ার কোনো বারণ নেই। দিনের যেকোনো সময়ই ডিম খেতে পারেন। এতে ক্ষতি হবে না। বরং দেহের প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হবে। ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য খাবার। রাতে ডিম খেলে পেট গরম হয় এমন ধারণা মোটেও ঠিক নয়।

ঘুমের জন্য উপকারি ডিম

জানলে অবাক হবেন, ডিমে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি মনে খুশির জোয়ার আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রিপটোফ্যান ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। তাই বলা যায়, অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। ভালো ঘুম হবে।

দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে?

দিনে একটি ডিম খাওয়াই যথেষ্ট। তবে যারা জিমে গিয়ে শারীরিক কসরত করে ঘাম ঝরান তারা ডিমের সংখ্যা বাড়াতে পারেন। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা হাইপার লিপিডিমিয়ার মতো জটিল অসুখে ভুগলে সপ্তাহে ৩টির বেশি ডিম খাবেন না। খেলেও সাদা অংশ খেতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

কিডনি রোগ থাকলে কি ডিম খাওয়া যায়?

অনেক কিডনি রোগী মনে করেন ডিম খেলে বোধহয় সমস্যা আরও বাড়বে। বিষয়টি একবারেই তেমন নয়। বরং এমন রোগীরা অনায়াসে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডিম খেতেই পারেন। একইভাবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলেও নিশ্চিন্তে ডিম খাওয়া যায়। সবমিলিয়ে বলা যায়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে ডিম রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। হোক তা সকালে কিংবা রাতে।

%d bloggers like this: