রাজনীতি

শরিকদের জন্য ৭ আসনের বেশি ছাড় দেবে না আ’লীগ বললেন কাদের

ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোটের শরিকদের জন্য সাতটি আসনের বেশি ছাড় দেওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব নয়। শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের শরিক দল বলতে জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে, ১৪ দলে কিছু আসনে নৌকা মার্কা আমরা দেবো। সাতটা নির্বাচনী এলাকায় নৌকা আমরা স্যাক্রিফাইস করতে পারব, গতকালই আমরা জানিয়ে দিয়েছি।জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাতটির বেশি আসন ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেছেন, বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনেন, আরও অনেক শরিক দল আছে।

তাদেরকে তো বোঝাতে হবে। কিন্তু যা হওয়ার হয়েছে। এর বাইরে আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’স্বতন্ত্র প্রার্থী তুলে নিতে শরিকদের দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন তো হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, আমরা আমাদের দলীয় প্রার্থী যেখানে আছে, সেখানে স্বতন্ত্রের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ইলেকশন করবে না, স্বতন্ত্র যদি জিতে জিতবে, আমরা জোর করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনব না।শরিকরা নিশ্চিত বিজয়ের গ্যারান্টি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না।

আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমারও জেতার গ্যারান্টি নেই। আমার সঙ্গে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। এই অ্যালায়েন্সে আসনের ব্যাপারটা গৌণ, মুখ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যাপারটা।টিআইবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন: টিআইবি, ২৮ দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরেও এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক কেন হবে না, কারণ তারা জেনে-শুনে এটা করছে।

বিএনপির ভাবাদর্শের, মতাদর্শের প্রবক্তা হয়ে তারা চোখ থাকিতে অন্ধ এমন একটা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক বলতে কী বোঝায়? ২৮টি দল অংশগ্রহণ করছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এটার অর্থটা কী? টিআইবি কি বিএনপির শাখা বা সমর্থক?

একই সুরে কথা বলছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, মঈন খান (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) বলছে ভাগাভাগির নির্বাচন। কীসের ভাগাভাগি, বানরের পিঠা ভাগাভাগি নাকি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে এই নির্বাচনকে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে একটা রেকর্ড আমরা রাখতে চাই।

নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। কাজেই নির্বাচনব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করার আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, কারো ব্যাপারেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি, আর করবোও না।

%d bloggers like this: