5 December 2023 , 3:06:22 প্রিন্ট সংস্করণ
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। আবার শিশুদের সর্দিকাশি নিরাময়ে মধু উপযোগী।
মধুর মধ্যেও একই ভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। দু’টি উপাদানই নিজ গুণে সমৃদ্ধ। তবে এই দুই উপাদান যদি একসঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে মজানো হয়, তার উপকারিতা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ।নিয়মিত মধু এবং রসুনের এই মিশ্রণ খেলে নিউমোনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করে এই মিশ্রণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে মধুতে মজানো রসুন। কিন্তু ঠিক কী ভাবে রসুনের সঙ্গে মধু মেশালে তা দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে—
উপকরণ: এক কোয়া রসুন ২০টি, মধু ২৫০ গ্রাম।
প্রথমে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে, তা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কোনো ভাবেই রসুনের গায়ে পানি না থাকে।এ বার বায়ুরোধী কাচের শিশিতে রসুনগুলো দিয়ে দিন।
কাচের শিশির মধ্যে যেন পানি না থাকে, তা-ও দেখে নিতে হবে।শিশির মধ্যে মধু ঢেলে দিন। রসুন যেন মধুর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।এক মাস এই ভাবে রেখে দিন।
তবে তিন দিন পর পর পরিষ্কার একটি চামচ দিয়ে রসুন নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো ভাবেই রান্নাঘরের তাপ, সূর্যের আলো বা পানির সংস্পর্শে যেন না আসে শিশিটি।