শিক্ষা

কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে শিক্ষককে অপহরণ করে বিয়ে

কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে শিক্ষককে অপহরণ করে বিয়ে

বিহারের একজন নবনিযুক্ত সরকারি শিক্ষককে বুধবার তাঁর স্কুল থেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং বন্দুক দেখিয়ে ওই মহিলাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শেষপর্যন্ত ‘অপহৃত’ শিক্ষকের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহিলার বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়।গৌতম কুমার বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে পাতেপুরের রেপুরায় উত্তক্রমিত মধ্য বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। এই গৌতম কুমারকেই অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিন থেকে চারজন একটি গাড়িতে স্কুলে এসে গৌতম কুমারকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন গৌতম কুমার নামে ওই শিক্ষক। সেই সময়ে ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে একদল লোক। বন্দুক ধরে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গৌতমকে। সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজেশ রাইয়ের বাড়িতে। গৌতমের দিকে বন্দুক তাক করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজেশের মেয়ে চাঁদনিকে বিয়ে করতে হবে।

নয়তো পরিণাম ভাল হবে না।এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাতে গৌতম কুমারের পরিবার মহুয়া-তাজপুর সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করে।এরপরই পাতেপুর পুলিশ অপহৃত শিক্ষককে খুঁজতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে বৃহস্পতিবার তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।পাতেপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হাসান সরদার বলেছেন, ‘শিক্ষক আদালতে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। আমরা মেয়েটির আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলছি।