আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে হামাস নেতাদের অনুসরণ করছে আইডিএফ

বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য দায়ী হামাস নেতাদের অনুসরণ করছে ইসরায়েল। শুক্রবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাজারি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, হাজারির এই হুঁশিয়ারি কাতারসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা হামাস নেতৃত্বকে এই সতর্ক বার্তাই দিচ্ছে যে তারা যেখানেই থাকুক না কেন, নিজেকে যতই নিরাপদ ভাবুক না কেন- আইডিএফ তাদের তাড়া করবেই।

তার এই বক্তব্য বিদেশের মাটিতে ইসরায়েলি গুপ্তচরদের টার্গেটেড কিলিং মিশনের নতুন যুগের সূচনার দিকেই ইঙ্গিত করছে। যার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে কাতারে অবস্থান করা হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এর আগে ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ইসরায়েলি অ্যাথলেট হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি গুপ্তচররা।

শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, এসব মিশন ইউরোপেও চালানো হয়েছিল। তবে অসলো শান্তি চুক্তির পর বিদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মতো বিষয় থেকে কার্যত নিজেদের বিরত রাখে ইসরায়েল। ২০১০ সাল পর্যন্ত আইডিএফ ও সিন বেতের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) টার্গেটেড কিলিং মিশনগুলো পশ্চিমতীর ও গাজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

সে বছরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাভুহকে হত্যা করে ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। এজেন্টরা এ হত্যাকাণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিল। গত ৬ বছরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বাইরে ইরানে সামরিক কর্মকর্তা ও সামরিক কাজে যুক্ত বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে মোসাদের বিরুদ্ধে।

ইসরায়েল এ অভিযোগগুলো কখনো জোর দিয়ে অস্বীকার করেনি।এ ছাড়া তিউনেসিয়া ও মালয়েশিয়াতে হামাস প্রকৌশলী হত্যার অভিযোগও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল। তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

%d bloggers like this: