বিনোদন

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী তিশা

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন ছোটপর্দার তারকা অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর মধ্যরাত থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে তিশা ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করেছেন।

যদিও পরে অভিনেত্রী জানান, আত্মহত্যা নয় ফুড পয়জনিং হয়েছিল তার। যার ফলে খারাপ লাগছিল এবং তিনি ঘুমের ওষুধ সেবন করেন। পরবর্তীতে এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বমি হয় এবং তিনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নন তিনি।

এছাড়াও আরও কিছু বিষয়সহ সব কিছু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন বলে জানান।এদিকে সার্বিক বিষয় সংবাদ পরিবেশেনের জন্য এক সাংবাদিক তিশাকে ফোন করেন। সে সময় মেজজ হারিয়ে সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই উত্তর দিতে বাধ্য নই আমি। আপনি প্রথম এই প্রশ্ন করেছেন, তাই আপনাকে ছাড় দিলাম।

এরপর কেউ সাহস করে আমাকে এই প্রশ্ন করলে আর ছাড় দেয়া হবে না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এটা আমি প্রমিজ করলাম। আপনি এই কথাটা অন্য সব সাংবাদিককে বলে দেন। নিউজ তো অনেক পরের কথা, আমি তো তখন উড়ায়া ফেলব! বাট, এখানে মুখ দিয়েও কেউ যদি বলে বা আমি শুনতে পাই কারও নাম, তাহলে আমার পাওয়ার খাটিয়ে, এমনকি যতবড় পাওয়ার খাটানো যায়, সেই পাওয়ার খাটিয়ে আমি যা করার করব।

আমি আপনাকে ডিরেক্টলি বলে দিচ্ছি ভাইয়া। কারণ, এটি একজন মেয়ের জন্য খুবই সেনসেটিভ।এই ঘটনার পরেই সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি এবং উড়িয়ে দেয়ার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এমন বক্তব্যের জন্য আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিশা।

সেখানে তিশা বলেন, বিগত কয়েকদিনের অসুস্থতা এবং আমার পারসোনাল লাইফ নিয়ে নানান ভিত্তিহীন কথা ও সংবাদ এবং পরিচিত অপরিচিত বিভিন্ন ফোন কলে আমি অনেকটাই মেন্টালি পাজলড ছিলাম। এমন সময়ে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলি।

যা আসলে ইনটেনশনালি ছিলো না।তিনি আরও বলেন, আমার সফলতার একটা অংশজুড়ে আপনারাও (সাংবাদিক) আছেন এবং আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সন্মান সবসময়ই ছিলো এবং থাকবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবশেষে তিশা বলেন, সবার উদ্দেশ্যে আমার একটাই কথা, আপনারা আমাকে আমার কাজ ও আপনাদের ভালোবাসায় এতদূর এনেছেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে আমার কাজ ও আমাকে ভালোবেসে যাবেন। আপনাদের সবার দোয়াতে আমাকে রাখবেন।