15 November 2023 , 12:15:14 প্রিন্ট সংস্করণ
দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখসহ বিস্তরিত দিনক্ষণ জানা যাবে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায়। এদিন বিকাল ৫টায় নির্বাচন কমিশনের সভা ডাকা হয়েছে। তারপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
কমিশনের মুখপাত্র ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। অতীতে রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দিলেও এবার সিইসির সেই ভাষণ বিটিভি ও বেতারে ‘সরাসরি সম্প্রচার ‘ করা হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা এর আগে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।এমন এক সময় সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়। একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের ফলে ভরাডুবির পর ‘আগের রাতে’ ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে তাদের নির্বাচিত এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবার ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ।
যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানালেও বিবাদমান পক্ষগুলো তাতে সাড়া দেয়নি।বিএনপির ডাকে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। তার মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন সিইসি।
দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিরোধের মীমাংসা না করে তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানিয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে বলেছে, নির্বাচনের না আসার এখতিয়ার রাজনৈতিক দলের থাকলেও ইসির সামনে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই।
রেওয়াজ অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার নির্বাচন কমিশনার। বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সাংবিধানিক দায়িত্ব অনুযায়ী ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে’ নির্বাচন আয়োজনে ‘বদ্ধপরিকর’, সে কথা তারা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।