খেলাধুলা

সান সিরোতে এমবাপ্পেদের হতাশার রাত

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের তৃতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠ এসি মিলানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। ফিরতি ম্যাচে এসি মিলানের মাঠ সান সিরোতেও একই পরিকল্পনা ছিল লুইস এনরিকের শিষ্যদের।

চার ম্যাচ ধরে জয়হীন এসি মিলানের পিএসজির কাছে পাত্তাই পাওয়ার কথা ছিল না। তবে জিরুদ-লেয়াওদের অন্য পরিকল্পনা ছিল, চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরে পিএসজিকে হতাশার রাতই উপহার দিল আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হেরেছেন ২-১ গোলে।

পার্ক দেস প্রিন্সেসে মিলানকে হারানোর ম্যাচে গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। ফিরতি দেখায় নিষ্প্রভ হয়ে রইলেন ২৪ বছর বয়সী তারকা। তার দলের একমাত্র গোলটি স্ক্রিনিয়ারের। মিলানের হয়ে একটি করে গোল করেছেন রাফায়েল লেয়াও ও অলিভার জিরুদ।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচটি নিউট্রাল দর্শকদের জন্য ছিল আনন্দের। সুযোগও তৈরি হলো অসংখ্য। তারকাসমৃদ্ধ পিএসজি শুরুতে এগিয়ে গেলেও ধরে রাখতে পারল না ব্যবধান। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে জয়ের আনন্দে ভাসল এসি মিলান। এতে টিকে রইল তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় খেলার আশা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলায় মন দেয় দুই দল। এতে নবম মিনিটে কর্নারে মার্কিনিয়োসের হেড পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে হেডেই লক্ষ্যভেদ করেন স্ক্রিনিয়ার। এগিয়ে যায় পিএসজি।

পাল্টা জবাব দিতে অবশ্য স্বাগতিকরা একেবারেই সময় নেয়নি। পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিট পর পিএসজি গোলকিপার দোন্নারুম্মার ভুলে আলগা বল পেয়ে অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে সমতা টানেন লেয়াও।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটের মাথায় জালের দেখা পান জিরুদ। সেটিই ছিল ম্যাচের শেষ গোল। এরপর একাধিক বার দুদল চেষ্টা চালালেও গোল দেয়া হয়ে ওঠেনি কারোরই।

হার সত্ত্বেও পয়েন্ট টেবিলে এখনও মিলানের উপরেই আছে পিএসজি। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তাদের অবস্থান দুইয়ে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে মিলান আছে তিন নম্বরে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।