আন্তর্জাতিক

নিহত শিশুদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের কথা বলতে গিয়ে, এভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম শাতয়েহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। যা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের মনে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার ফিলিস্তিনের রাজধানী রামাল্লায় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার সময়, গাজার নিষ্পাপ শিশুদের কথা বলতে গিয়ে, কান্না আটকাতে পারেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতয়েহ।

শুধু শাতয়েহ-ই নন, গাজার শিশুদের জন্য ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। ফিলিস্তিনের এই উপত্যকা ‘শিশুদের জন্য কবরস্থানে’ পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী- ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার এক শর বেশি শিশু।

গাজায় এভাবে পাখির মতো মানুষ মরলেও যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি হলে আবারও সংগঠিত হবে হামাস।

এমন পরিস্থিতে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এসব ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো যায়।

মার্কিন নৌবাহিনী কোনো রাখঢাক ছাড়াই অঞ্চলটিতে সাবমেরিন পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান ও তার প্রভাব বলয়ে থাকা কোনো দেশ যেন ইরসায়েলে হামলা চালানোর সাহস না দেখায়, তার কৌশল হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করা যায়, এমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন।

তবে, সরাসরি যুদ্ধবিরতি নয়, কয়েক-ঘণ্টার জন্য হামলায় বন্ধ করার কথা বিবেচনা করছে ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, হামলায় কৌশলগত বিরতি কার্যকর করা হতে পারে দুটি কারণে।

প্রথমত, গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের গাজা থেকে বের করে আনা।গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে দেশটিতে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ যায়।

ওই দিন থেকে নির্বিচার পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এক মাসে গাজায় নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির, বাদ যাচ্ছে না কিছুই।