লাইফ স্টাইল

ঢ্যাঁড়শের যত গুণ তা জেনেনিন

ঢ্যাঁড়শ পুষ্টিগুলে ভরপুর একটি সবজি। এটি ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটের মতো উপাদানে ভরপুর। ভিটামিন বি ডায়াবেটিক স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি, হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে । এই উপাদানটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

ঢ্যাঁড়শে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবারই থাকে। ফাইবার বিপাকক্রিয়ার গতি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ ধীরে বাড়ে। তা ছাড়া, ঢ্যাঁড়শে ক্যালোরির মাত্রাও বেশ কম। ফলে ঢ্যাঁড়শ খেতে পারেন যে কেউ।

নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

হজমে সহায়ক: দু’ধরনের ফাইবারে সমৃদ্ধ ঢ্যাঁড়শ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ করে। অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: ফাইবারের পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শে পলিফেলনের মতো উপাদান রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছোট থেকে ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমাতে পারে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত এই সবজি খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে : চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল ভিটামিন এ। ঢ্যাঁড়শে যথেষ্ট পরিমাণে এই ভিটামিন রয়েছে। চোখে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধ করতে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়া প্রয়োজন।

হাড় মজবুত করে : ঢ্যাঁড়শে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদান ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি-ও। তাই অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঢ্যাঁড়শ।

ত্বকে উজ্জ্বলতা বজায় রাখে : ঢ্যাঁড়শে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা অন্য সবজিতে নেই। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার পাশাপাশি বয়সজনিত লক্ষণগুলিও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

%d bloggers like this: