আন্তর্জাতিক

হত্যাকাণ্ডের জন্য তলানিতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক

খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ হিসেবে ঘটেছে কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাও। যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত-কানাডা টানাপোড়েনের বিষয়ে তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

কিন্তু যাকে নিয়ে এই তোলপাড়, সেই হরদীপ সিং কে ছিলেন? গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় হরদীপ সিং নিজ্জারকে।

তার জন্ম পাঞ্জাবের জলন্ধরের ভরসিংহপুর গ্রামে। ১৯৯৭ সালে কানাডায় পাড়ি জমান তিনি। প্রাথমিক জীবনে প্লাম্বার হিসেবে কাজ করতেন হরদীপ সিং। পরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একজন বিশিষ্ট শিখ নেতা হয়ে ওঠেন তিনি।

খালিস্তান টাইগার ফোর্সের সঙ্গে কথিত যোগসূত্রের জন্য ২০২০ সালে হরদীপ সিংকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করে ভারত সরকার।তার সমর্থকরা বলেছেন, খালিস্তান আন্দালনে যুক্ত হওয়ার জন্য আগেও বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল হরদীপ সিংকে।

ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন বলেছে, গত গ্রীষ্মে হরদীপ সিং নিজ্জার কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। রতীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মৃত্যুর আগে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনে ভারতে বেসরকারি গণভোট আয়োজনে কাজ করছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জার।

গত সোমবার কানাডার হাউজ অব কমন্সের সভায় কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ভারত এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নাকচ করে দিয়েছে।

%d bloggers like this: