এক্সক্লুসিভ

রাজনীতি করি অর্থর জন্য নয়, গণমানুষের জন্য – শেখ সাদী

জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ সাদী বলেছেন, কুমারখালী-খোকসায় এমন একটি রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যা সারা দেশের জন্য মডেল হবে। কুমারখালী-খোকাসা উপজেলার বেকারত্ব দূরীকরণে পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করছি। তিনি বিএনপি’র সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। দুই উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি নিজ দলের সকল প্যানেলের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে চান এই নেতা।

গত ৪ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিতে  যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে তার নাম প্রকাশের পর তিনি জেলার কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি ও জনমানুষের জন্য করনীয় বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। তিনি  বলেন, রাজনীতি কোন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়। সেটা সকলের মত আমার ক্ষেত্রেও নয়। রাজনীতি জনমানুষের। তাই সকলে মিলে রাজনীতি করলে রাজনীতির আসল নান্দনিকতা উঠে আসে। রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বলেন, যারা রাজনীতিতে আসে তারা পদ-পদবি ও ক্ষমতা চায়। কিন্তু আমি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি করি অর্থ বা ক্ষমতার জন্য নয়, আমি রাজনীতি করি গণমানুষের জন্য। নেতার নির্দেশে কুমারখালী-খোকসার মানুষদের নিয়ে এমন একটি রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যা সারা বাংলাদেশের জন্য একটি মডেল হবে। কুমারখালী-খোকাসা উপজেলার বেকারত্ব দূরীকরণে নিজ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নে সবসময় পাশে থাকার প্রতিজ্ঞার কথা জানান তিনি। শেখ সাদী বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। আমি ঢাকায় অবস্থান করার কারণে এলাকায় সামাজিক ও সমাজসেবা ছাড়া তেমন কোন অনুষ্ঠানে সময়ের অভাবে থাকা সম্ভব হয়নি, এখন কেন্দ্র আমাকে এলাকায় দলীয় কাজ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সেটা শতভাগ পালনে চেষ্টা করবো।

শেখ সাদী কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনোনীত হওয়ায় কুমারখালীতে আনন্দ মিছিল ও জেলা জুড়ে উৎসবের আমেজ চলছে। শেখ সাদীর জন্মস্থান কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে। তিনি আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাস করেন এবং মেধা তালিকায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে চান্স পেয়ে ১৯৯৭ সালে তিনি ভাল ফলাফল নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং জাতীয়বাদী ছাত্রদলের জি এস ও সাবেক জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে লেখাপড়ার তাগিতে চলে যান ঢাকায় এবং পর্যায়ক্রমে ২০০০ সালে বিএসএস ও ২০০২ সালে এম এস এস ডিগ্রি অর্জন করেন।

 সঠিক নিয়ম, ইচ্ছেশক্তি, সততা, কঠোর পরিশ্রম আর তীক্ষণ দূরদর্শীতা আজ তিনি এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।

আরও খবর

Sponsered content