10 July 2024 , 2:49:52 প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতীয় টিভি পর্দার অন্যতম পরিচিত মুখ শ্বেতা তিওয়ারি। ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’ খ্যাত শ্বেতা ছিলেন নব্বই দশকের ক্রাশ। এত বছর পরও শ্বেতার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। টিভি পর্দায় দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় তিনি। ৪৩ বছর বয়সেও শ্বেতার ফিগারে চোখ আটকায় ভক্তদের। তার গ্ল্যামার যেন অনায়াসে টেক্কা দেয় সবাইকে।দুইবার ডিভোর্স নেওয়া শ্বেতা দুই সন্তানকে নিয়ে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেন।
তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতেও বিশেষভাবে আগ্রহী অনুসারীরা। বিশেষ করে কেন দুই বার ডিভোর্স হয় শ্বেতার? এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাকে।শ্বেতা জানান, অন্য ধর্মে বিয়ে করায় তার মা রীতিমতো তুলোধুনা করেছিলেন। প্রথম স্বামী রাজার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে নয় বছর সময় লেগেছিল শ্বেতার। তিনি জানান, প্রথম স্বামী রাজা তাকে নিয়মিত মারধর করতেন। শ্যুটিং সেটে গিয়েও ঝামেলা করতেন তিনি।সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে শ্বেতা বলেন, ‘আমার আগে পরিবারে কেউ কোনোদিন প্রেম করে বিয়ে করেনি।
অন্য ধর্মে বিয়ে নিয়ে আমাদের বাড়িতে সমস্যা ছিল। তবুও আমি লাভ ম্যারেজই করেছি। আমার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়। আমি যদি তখন ডিভোর্সের মামলা করতে যেতাম বিষয়টা অন্য রকম হত। তাছাড়া তখন আমি আর্থিকভাবেও সচ্ছল ছিলাম না। তবে এর চেয়েও যেটা বেশি ছিল সেটা আবেগ।শ্বেতা আরও বলেন, ‘আমি মেয়ের জন্য খুব চিন্তায় ছিলাম। বড় হয়ে বাবার পরিচয় না পেলে সমাজ নানা কথা বলবে। কিন্তু পরে মনে হলো, মানসিক শান্তি না থাকলে সুখী হওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতি সন্তানের জন্যও ভালো নয়।
তার থেকে দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো।ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীর সঙ্গে ১৯৯৮ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন শ্বেতা। ২০০৭-এ ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেন। ২০১৩-এ আবার বিয়ে করেন শ্বেতা। পাত্র অভিনব কোহলি। তিন বছর প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে রেনান্স কোহলি। ছয় বছর পর আলাদা হয় অভিনব-শ্বেতার পথ। শ্বেতার অভিযোগ ছিল, তিনি এবং মেয়ে পলকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন অভিনব।