১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার রাস্তা সংস্কারের পরে হস্তান্তরের আগেই সড়কে ফাটল, উঠে গেছে, কোথাও কোথাও মাটির সাথে মিশে গেছে, স্থানীয়রা মুখ খুললেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেয়া হবে চাঁদাবাজি মামলা, কন্টাকটার বলেন, টাকা দিলেই অনিয়মের কাজ, নিয়মে হয়ে যায়।পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুরের বিপিনপুর- নিজামপুর সড়ক সংস্কারের কাজে উঠেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। অনিয়মের চিত্র বেড়িয়ে আশায় রাস্তা পরিদর্শন করে ফের সংস্কারের আশ্বাস দেন উপজেলা প্রশাসন।
কিন্তু এবার নামে নয় টেকসই মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।বুধবার (৩ জুলাই) ওই রাস্তা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারের এক মাস পার হয়নি অথচ উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং দেখা দিয়েছে ফাটল। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর নিজামপুরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া পাশ্ববর্তী উপজেলা তালতলীর সাথে যাতায়াতের অন্যতম ব্যস্ত এই রাস্তায় এখন মোটরসাইকেল, অটোরিকশার মত হালকা যানেও রাস্তা ঢেভে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়ক সংস্কারের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে।
এমনকি অনিয়মের বিষয়ে কথা বল্লে দেয়া হতো মামলা হামলার ভয়।নিজামপুর এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মন্নান হাওলাদার জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখানে মনগড়া কাজ করে গিয়েছে আমরা যখন কাজে বাধা দিয়েছি তখন বলেছে বেশি কথা বললে চাঁদাবাজি মামলা দিব। দুই লাখ টাকা অফিসারদের দিলে আর কোন সমস্যা হবে না এভাবেই কাজ করে যাব। কাজ শেষ হওয়ার এক মাস পরেই সব জায়গা থেকে ভিটুমিন উঠে গেছে, আমাদের দাবি আবার পুনরায় সঠিকভাবে রাস্তা সংস্কার করা হোক নাহয় আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
আক্ষেপ নিয়ে স্থানীয় ইসমাইল খান নামের এক বৃদ্ধ জানান, আমরা দীর্ঘদিন কাঁচা রাস্তা হেটেছি এরপরে ইটের রাস্তা ছিল এখন সংস্কার করতে এসে আমি মাত্র কাজ করে গেল । কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কমপক্ষের ২০ জায়গা থেকে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এই রাস্তা দরকার নাই, ভালো করে রাস্তা কাজ করে দেবে এটাই আমাদের দাবি।সাব-কন্ট্রাক্টটারের গাফেলতি স্বীকার করে পূনরায় কাজ করে দেয়ার কথা জানান কাজটির দায়িত্ব পাওয়া মেসার্স শহিদুল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
তিষ্ঠানটি স্বত্বাধিকারী মো. শহিদুল ইসলাম সোনালীনিউজকে বলেন, আমরা এখনো এলজিইডিকে কাজটা বুঝিয়ে দেইনি। তবে সাব কন্টাকটারের কিছুটা গাফিলতি এবং বৃষ্টি হয়েছে তাই স্থান থেকে রাস্তাটি নষ্ট হয়েছে। যে জায়গাগুলো থেকে নষ্ট হয়েছে সেগুলো আমরা এখন আবার পুনরায় সংস্কার করে দিব।কাজের সর্বশেষ অবস্থা পরিদর্শন করে এলজিইডি কলাপাড়া সার্ভেয়ার মো. আল-আমিন সোনালী নিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারনে রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে ফের সংস্কার করে না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের বিল পরিশোধ করা হবেনা।
অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, কার্পেটিং উঠা ও ভেঙে যাওয়ার সত্যতা পেয়েছি এখানে এসে। দ্রুত পুনরায় এই রাস্তা সংস্কারে নির্দেশ দিয়েছি, এরপরে আমরা এ রাস্তা আবার পরিদর্শন করবো সঠিক মত কাজ না হলে তাদেরকে বিল দেয়া হবে না।
Like this:
Like Loading...