বাণিজ্য

আবারও বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ঘরে নেমেছিল। এক মাসের ব্যবধানে ঈদের আগে আবারও ১৯ বিলিয়নের ঘরে উঠেছে। সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৪৫২ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ ও এপ্রিল মাসের দায় মেটানোর পর মে মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলারে নেমে আসে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নামে ১ হাজার ৮৩২ কোটি ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে।আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার।

এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে।বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারণ করতে হয়।

সেখানে বাংলাদেশে প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে প্রয়োজন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার। ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব করলে বাংলাদেশের রিজার্ভ ইতোমধ্যে বিপদজনক সীমার মধ্যে পড়ে গেছে।