2 October 2023 , 11:56:00 প্রিন্ট সংস্করণ
সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। তবে এই আয় সেপ্টেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
রোববার (১ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে এসব জানা গেছে।ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। মাসটিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম ৪৩১ কোটি ডলার।
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল যথাক্রমে ৪৫৯ ও ৪৭৮ কোটি ডলারের। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৩১ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে। সেক্ষেত্রে গত জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ আর আগস্টের তুলনায় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বা তিন মাসে এক হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।এদিকে রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। যেখানে ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ আর ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
এ তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।
একই সময়ে প্ল্যাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ম্যান মেইড ফাইবারে ৫১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও গ্ল্যাস ওয়্যারে ৬৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।