15 June 2024 , 3:32:11 প্রিন্ট সংস্করণ
দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতির বাজারে কিস্তির ব্যবস্থা যেন অনেকটাই স্বস্তির নাম। প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে এ পদ্ধতি। তবে এবার সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।ঘুষের টাকা নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ভারতীয় আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘুষ নিতে কিছুটা দয়াপরবশ হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তারা এ ব্যবস্থা চালু করেছেন।
আর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব নাগরিক পিছিয়ে রয়েছেন তাদের যাতে ঘুষ দিতে অসুবিধা না হয় সে জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে ঘুষ দাতারা মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করতে পারেন।
অভিযোগ উঠেছে, এসজিএসটি বিলিং দুর্নীতিতে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এত টাকা দিতে না পারায় প্রতি কিস্তিতে ২ লাখ টাকা করে পরিশোধের অফার দেওয়া হয় তাকে। ৯ মাস ধরে তাকে কিস্তিতে এভাবে পরিশোধ করতে বলা হয় ঘুষের টাকা।
কেবল এটিই নয়, রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। সাইবার ক্রাইম শাখার এক পুলিশ কর্মকর্তা কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এ টাকা চার কিস্তিতে পরিশোধের অফার করেছিলেন তিনি।
সুরাটে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেও কিস্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে এক কৃষকের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। জমিসংক্রান্ত এক মামলায় আর্থিক সংগতি না থাকায় মাসে ৩৫ হাজার টাকা করে কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয় তাকে।
সবরকাঁথা জেলাতেও কিস্তিতে ঘুষের অভিযোগ ওঠে। বলা হয়েছে, স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ঘুষ চেয়ে পালিয়ে যান দুই পুলিশ সদস্য। মূলত এক ব্যক্তির থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন তারা। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকা ছিল এর প্রথম কিস্তি।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা দু-একটা নয়, অন্তত ১০টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গুজরাটের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (এসিবি) এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, মূল্যবান জিনিস কিনতে ইএমআইয়ের প্রচলন রয়েছে।
তবে সরকারি সংস্থাগুলোতেও এসব পদ্ধতি অনেক অসাধু কর্মকর্তারা অবলম্বন করছেন। ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি।তিনি বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে সামান্য জানতে পেরেছি। ঘুষের টাকা ডাউন পেমেন্ট করার পর তারা আমাদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।