Uncategorized

আওয়ামী লীগ কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বললেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশটাকে জাহান্নামে নিয়ে গেছে সরকার। দেশের সব কাঠামো ধ্বংস করেছে তারা। আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করেছে। আজকে আওয়ামী লীগ না করলে কারো চাকরি হয় না। দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের মিথ্যা বলায় জুড়ি মেলা ভার। আওয়ামী লীগ কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। এ রকম একটি দল দেশ ও জাতির জন্য বড় সমস্যা। তারা দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে।

দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। আসুন সবাই মিলে দেশটাকে বাঁচাই।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক অনুষ্ঠানে রোববার দুপুরে ঢাকায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।মির্জা ফখরুল বলেন, নিজের সততা দিয়ে দেশের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান তো চারটি বাদে সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল। জাতীয় প্রেসক্লাব তো জিয়াউর রহমানের অবদান। অথচ তার নামই আজ উচ্চারণই করতে চায় না।তিনি বলেন, আজকে দেশের প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋণের বোঝা। এরপরও তারা বাজেট দেয় যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আজকে এই সরকার দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে?

এরপরও যেসব বুদ্ধিজীবী তাদের প্রশংসা করেন তারা কী নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করেন? সুতরাং আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলবো আপনারা জাতি গঠনে কাজ করুন। দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করুন। আজকে ডাকসু নির্বাচন নেই। কোনো নির্বাচন নেই। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারাদেশে ওয়ার্কশপ করার কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব।সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। সভায় ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান গবেষণা ও শিক্ষিত জাতি গঠনে শহীদ জিয়া’ এবং ‘জিয়াউর রহমান: ক্রান্তিকালের ত্রাণকর্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

ইউট্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ড. মো. রইছ উদদীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, ড. কামরুল আহসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, জাতির এই দু:সময়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ আজকে বাংলাদেশের ওপর শকুনের চোখ পড়েছে। দেশের জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সবাইকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।