ভিন্ন স্বাদের খবর

ভূতকে বিয়ের পর ডিভোর্স এখন কী করছেন ব্রিটিশ গায়িকা

সাধারণত মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রেম হয়। আর সেই প্রেমের পরিণতি ঘটে বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ গায়িকা-গীতিকার রকার ব্রোকার্ড ভিক্টোরিয়ান যুগের একটি ভূতকে বিয়ে করেছিলেন। তাকে তিনি ভালোবেসে অ্যাডওয়ার্ডো নামে ডাকতেন। রকারের মতে অ্যাডওয়ার্ড বেশ সুদর্শন ছিলেন।তবে ব্রোকার্ডের সাথে প্রতারণা করায় অ্যাডওয়ার্ডের সাথে বিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি ভূতে আছর করা ক্লাউন নামে একটি পুতুল দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু এতে তার সাবেক প্রেমিক অ্যাডওয়ার্ড রাগান্বিত হন।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নেভাদার দ্য ক্লাউন মোটেলে একরাত কাটানোর সময় নাকি ব্রোকার্ডের সাথে ক্লাউনের পরিচয় হয়। তিনি ক্লাউনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন। তারপর ব্রোকার্ড অক্সফোর্ডশায়ারে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে ক্লাউন নামে ওই পুতুলের ওপর ভূতের আছর করার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেন।কিন্তু ক্লাউনকে বাড়িতে আনায় ব্রোকার্ডের সাবেক স্বামী অ্যাডওয়ার্ডো তার প্রতি রাগান্বিত হয়।

ব্রোকার্ড বলেন, অন্য আত্মার সাথে যোগাযোগ করায় প্রথমে অ্যাডওয়ার্ডো অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু ক্লাউনকে বাড়িতে আনায় অ্যাডওয়ার্ডো বিচলিত হয়ে পড়ে।পরে আমি অ্যাডওয়ার্ডোকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমি তার মতো ক্লাউনকে বিয়ে করব না। আমি ক্লাউনকে শুধুমাত্র গবেষণার উদ্দেশ্যে এখানে এনেছি, বলেন ব্রোকার্ড।প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লাউনের সাথে সম্পর্কের আগে ব্রোকার্ডের প্রেম হয়েছিল অ্যাডওয়ার্ডোর।

তাদের গল্পটি একটি রাতে শুরু হয়েছিল যখন অ্যাডওয়ার্ডো রহস্যজনকভাবে তার বেডরুমে হাজির হয়। ৫ মাসের মধ্যে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। ২০২২ সালে হ্যালোউইনের ভয়ঙ্কর রাতে দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের হানিমুন চলাকালীন অ্যাডওয়ার্ডোর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন ব্রোকার্ড।ব্রোকার্ড জানান, আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর প্রতি অ্যাডওয়ার্ডোর আসক্তি বাড়তে থাকে।

অ্যাডওয়ার্ডো নাকি মাঝে মাঝে কয়েকদিনের জন্য অদৃশ্য হয়ে যেত।মেরিলিন মনরো চ্যানেল- ৫ সুগন্ধি ব্যবহার করতো। যখন দীর্ঘদিন বাদে অ্যাডওয়ার্ডো ফিরে আসতো মেরিলিন মনরোর দেহের সুগন্ধির ঘ্রাণ পেতেন ব্রোকার্ড। এরপর অ্যাডওয়ার্ডোর সাথে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করেন ব্রোকার্ড। ধীরে ধীরে এই ভৌতিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে ‘এক্সরসিজম’- এর সাহায্য নেবার সিদ্ধান্ত নেন ব্রোকার্ড।

এক্সরসিজম’- প্রক্রিয়ার সময় অ্যাডওয়ার্ডো এবং একটি শিশুর চিৎকারের শব্দ তাকে মানসিকভাবে উদ্‌ভ্রান্ত করতে শুরু করে। অবশেষে পরিস্থিতি বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে পৌঁছে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠোর প্রচেষ্টা অনুসরণ করে শেষ পর্যন্ত অ্যাডওয়ার্ডোকে তার জীবন থেকে বের করে দিতে সফল হন ব্রোকার্ড।

অ্যাডওয়ার্ডোর অস্থির আত্মাকে জীবন থেকে তাড়ানোর পর মুক্তির স্বাদ অনুভব করেন ব্রোকার্ড। তবে বর্তমানে ব্রোকার্ডের বাড়িতে দুইটি ভূত আছে বলে জানান তিনি। তাদের নিয়ে তিনি খুব ভালোই আছেন।