13 September 2023 , 4:05:22 প্রিন্ট সংস্করণ
য়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও বাহ্যিক পরিবর্তন আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। ত্বকের আঁটসাঁট ভাব ক্রমশ ঢিলে হতে শুরু করে, কমে যায় উজ্জ্বলতা। তাই বলা চলে প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা কঠিন।অনেকে নামী-দামী ব্র্যান্ডের রুপচর্চার পণ্য ব্যবহার করেও তেমন ফল পান না।
আবার কিছু চিকিৎসা আছে ত্বকের বয়স ধরে রাখার কিন্তু যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।তাই বয়সের সাথে সাথে ত্বকের যত্নে অনেক নিয়ম মানতে হয়। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হয়। ত্বকের অন্যতম পুষ্টি হল কোলাজেন। এই পুষ্টির গুণেই সতেজ থাকে ত্বক। বয়স বাড়লে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। কয়েকটি খাবার আছে, যেগুলি নিয়ম করে খেলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) ডিম : শুধু শরীরের নয়, ত্বকের খেয়াল রাখতে ডিমের উপকারিতা কম নয়। ডিমে রয়েছে এমন উপাদান, যা কোলাজেন উৎপাদন করে। ডিমে একই সঙ্গে রয়েছে বায়োটিন, যা ত্বক টানটান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২) ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার : সাইট্রাস গোত্রের কিছু ফল ত্বকের খেয়াল রাখতে পারে। বিশেষ করে যে সব ফলে ভিটামিন সি আছে, তা বেশি করে খাওয়া জরুরি। কমলালেবু, আঙুরে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি। এই ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদন করে। ফলে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এই ফলগুলি বেশি করে খান।
৩) জিংক জাতীয় খাবার : শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে জিঙ্কেরও ভূমিকা রয়েছে। এই খনিজ কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাঁধা দেয়। শরীরে জিঙ্কের পর্যাপ্ত জোগান দিতে খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে রাখতে পারেন।
৪) বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম : নানা বাহারি খাবারে বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বকের দেখাশোনাতেও ক্যাপসিকামের জুড়ি মেলা ভার। লাল, হলুদ ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি আছে ভরপুর পরিমাণে। এ ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিনয়েড। ত্বকের পুষ্টি কোলাজেন উৎপাদনে এর ভূমিকা অনবদ্য।
৫) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার : কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত সামুদ্রিক মাছেই থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক ভিতর থেকে টানটান রাখে। সেই সঙ্গে ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে। তাই রোজ না হলেও ফ্যাটি অ্যাসিডযুতক্ত মাছ মাঝেমাঝেই খাওয়া যেতে পারে।