12 September 2023 , 3:56:04 প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমানের ভয়বহ সব রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আর বিশ্বজুড়েই ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়েই চলেছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মূলত এ রোগ দেখা দেয়। আর রক্তে এ শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে সেটা নিয়ন্ত্রন করা খুব কঠিন হয়ে পরে। সকল কঠিন রোগের দরজা খুলে দেয় এই ডায়াবেটিস।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিক আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ টের পাননা যে তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগের কারণে কিডনি বিকল থেকে শুরু করে হৃদরোগ এমনকি অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে। তাই এসব রোগের ঝুঁকি এড়াতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, সকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো চিনে রাখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতির শিকার হতে পারে।
বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ”যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে, তারা প্রথমদিকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন না। কারণ এটা হচ্ছে ধীরগতির ঘাতক। যার হয়েছে, সেদিনই তাকে বিপদে ফেলবে না, কিন্তু আস্তে আস্তে তার শরীরের ক্ষয় করে দেবে।
শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়-
১. মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
২. বমি বমি ভাব
৩. ঝাপসা দৃষ্টি
৪. মনোযোগের অসুবিধা
৫. ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত অনুভূতি ইত্যাদি।
জেনে নেয়া যাক রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা কত:
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, খাবারের আগে রক্তে শর্করা মাত্রা ৮০-১৩০ এমজি/ডিএল হওয়া উচিত। আর খাবারের ২ ঘণ্টা পরে ১৮০ এমজি/ডিএল এর কম হওয়া উচিত।
সিডিসি’র মতে, রক্তে শর্করার লক্ষণগুলো আপনার বয়স, যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা ও অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই এ বিষয়ে চিকিৎসকরের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।