17 April 2024 , 1:52:48 প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাইরে বেরোনো মানুষের। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে ঘাম ঝরবে বেশি, ফলে অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে।
এই পরিস্থিতি আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ১৬ এপ্রিল হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যদি কোনো একটি এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে থাকে, এমন অবস্থাকে আবহাওয়াবিদেরা তীব্র কষ্টকর দিন হিসেবে চিহ্নিত করেন।
অপর দিকে তাপমাত্রা যখন ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের কম থাকে, এমন অবস্থাকে আরামদায়ক দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে মোংলায় ৪০.৩, যশোর ও ঈশ্বরদীতে ৩৯.৮, খুলনায় ৩৯.৫, রাজশাহীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও কুমারখালীতে ৩৯.২, রাঙ্গামাটিতে ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়।
তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।