23 March 2024 , 2:52:03 প্রিন্ট সংস্করণ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ফিলিস্তিনে যা চলছে সেটি কোনো ধর্মীয় বিষয় না। এটি স্পষ্টত জাতিগত হত্যা, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, মানবতার চরম বিপর্যয়। তাই মানবতার জায়গা থেকেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের কথা বলা উচিত, প্রতিবাদ করা উচিত। মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
তিনি বলেন, সরকার একদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে মুখে সিম্প্যাথি দেখাচ্ছে, আরেকদিকে বাংলাদেশে ইসরায়েলের দূতাবাস খোলার পাঁয়তারা করছে। এ জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরায়েল শব্দ তুলে দিয়েছে। এজন্য তারা চায় না ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দেশে বড় কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা ফিলিস্তিনের পক্ষে জনসমর্থন তৈরি হোক।
গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের প্রতি জাতীয় সংহতি সমাবেশে নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন। সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।নুরুল হক নুর বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে সমগ্র পশ্চিমা বিশ্ব তোলপাড়, তাদের হৃদয় জ্বলে। কিন্তু ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের বাড়িঘর, হাসপাতাল ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে, গণহত্যা চালাচ্ছে এতে তাদের হৃদয় কাঁদে না। বরং তারা ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেয়।
এটা তাদের দ্বিচারিতা ও মানবাধিকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে প্রতারণা। এই একই প্রতারণা করছে বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে হটিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ওরা যতই প্রতারণা করুক, ধোঁকাবাজি করুক, ওদের মিথ্যাচার, প্রতারণা আমাদের কাছে পরিষ্কার। শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে সুবিধাবাদীদের নিয়ে শোকরানা মাহফিল করেছে। মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার কথা বলে আলেমদের লাঞ্ছিত করে জেলে ভরছে।
এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে দেশে ধর্ম-কর্ম করে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে।নুরুল হক আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মাতব্বরি করার জন্য পশ্চিমাদের অনেকে ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে। এজন্য যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রয়োজন হয় ,তারা লাগবে। আমেরিকা,ইউরোপসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে কয়টি প্রতিবাদ হয়েছে? ১৮ কোটি মানুষের দেশে কতজন ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে? আমরা যদি প্রতিবাদ করি, সেটিও যেন গণমাধ্যমে না আসে, প্রচার না হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই হচ্ছে বাস্তবতা।
গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ভারতের সঙ্গে ইসরায়েল বন্ধুত্ব, আর ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের। তার মানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক। এ কারণে তারা ইসরায়েল থেকে মোবাইল মনিটরিং ডিভাইস কিনেছে এবং পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরায়েল তুলে নিয়েছে। এই রমজানেও ইসরায়েলের বর্বরতা থেমে নেই।পৃথিবীব্যাপী ইসরায়েলি পণ্য বর্জন ক্যাম্পেইন চলছে। ভারতও বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ভারতীয় পণ্য বর্জন ক্যাম্পেইন চলছে।
এই ঈদে ও রমজানে কোন ভারতীয় ও ইজরায়েলের পণ্য আমরা কিনবো না। আর সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য আওয়ামীলীগকেও আমাদের বর্জন করতে হবে।সংহতি সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ।