শিক্ষা

স্কুল-কলেজে কওমি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি

স্কুল-কলেজে কওমি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি

স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তরুণ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতি-স্বীকৃতি ও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কার্যকারিতার প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।

সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কওমি মাদ্রাসা ও দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

এসময় তারা শিক্ষানীতি গঠন ও বাস্তবায়ন কমিটিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমাদৃত চিন্তক আলেমদের রাখা, শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় না রাখার দাবি জানান।

মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন,‌ দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা,‌ নূরানী মাদ্রাসাগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃত বোর্ডগুলো থেকে নিবন্ধনকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তারা।

এছাড়াও ২০১২ সালে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য গঠিত কওমি কমিশনের প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামের আলোকে কওমি স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা,‌ ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক, আদর্শ মানুষ ও সমাজ গঠনে মাদরাসার অবদানকে সর্বময় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা,‌ কওমি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া‌ এবং কওমি শিক্ষার্থীদের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহির্বিশ্বে পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content