জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই মিলছে পাসপোর্ট স্বস্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই মিলছে পাসপোর্ট স্বস্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র পাল্টেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া পাসপোর্টের বায়মেট্রিক সহ সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ করছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। সময় মত পাসপোর্ট সরবরাহে সন্তুষ্ট সেবা গ্রহীতারা। জানা গেছে, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক পদে চলতি বছরের ৮-ই ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন মো. মেহেদী হাসান।

তার যোগদানের পর থেকে ভোগান্তি কমেছে পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশীদের। আবেদনপত্রের শর্ত পূরণ করে অফিসে জমা দিলেই ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট করতে পেরে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা।এদিকে, পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো. মেহেদী হাসানের যোগদানের পর থেকে দালাল ও প্রতারকদের দৌরাত্ম্য দৃশ্যমান নেই অফিসের চারপাশে।

আগে দালাল ও প্রতারকরা সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি করে নানাভাবে প্রভাবিত করতো। তবে নতুন উপপরিচালকের যোগদানের পর থেকে পাল্টেছে সেবা প্রদানের চিত্র। কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়া সকল নিয়ম মেনে পাসপোর্টের কার্য সম্পূর্ণ করছেন গ্রাহকরা।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শুনেছি পাসপোর্ট করতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।

তবে আমি স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ফরম পূরণ করে পাসপোর্টের কার্যক্রম সস্পূর্ণ করেছি। চলতি মাসের ২৫ তারিখে পাসপোর্ট প্রেরণের কথা রয়েছে। পাসপোর্টের সেবার মান অনেক সহজ হয়েছে। অনেকের মধ্য বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। তবে কোন ভোগান্তি ছাড়া সাধারণ জনগণ এখানকার সেবা গ্রহণ করতে পারেন। আমেনা নামের অপর এক সেবা গ্রহীতা বলেন, মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে ফরমপূরণ করে ব্যাংকে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা জমা দিয়েছি।

পাসপোর্ট অফিসে এসে ফরম জমা করলেই সাথে সাথে ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ সকল কার্যক্রম শেষ করেছেন। কোন হয়রানির শিকার হতে হয়নি। এত সহজ কাজে দালালের কাছে গিয়ে হয়রানি হওয়ার কোন মানে হয়না।অপরদিকে, অফিসটি দালাল ও প্রতারকদের দমনের লক্ষ্যে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দালাল ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক।

সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, এখানে যোগদান করেছি অল্প কয়েকদিন। যোগদানের পর থেকে পাসপোর্ট করতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যা শুনে তার সমাধান দেয়াড় চেষ্টা করছি। আর যে-সব আবেদনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ে কথা বলে সমাধান করার পথ খুঁজে বের করছি।

কারণ, এখানে যেহেতু আমি দায়িত্বে রয়েছি, আবেদনকারীরা আমার কাছে তাদের সমস্যা নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া বাংলাদেশের বৈধ নাগরিকের অধিকার। আবেদনকারীর আবেদনের সঙ্গে তার শর্তাবলি পূরণ করলে সে নিঃসন্দেহে পাসপোর্ট ঝামেলা ছাড়াই পেয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, অনেক সময় দালাল ও প্রতারকদের দ্বারা গ্রাহকরা হয়রানি হয়ে থাকেন। এ বিষয়ে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে আমি লিখিত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছি। তিনি প্রতারকদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।