জাতীয়

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকায়

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকায়

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে উঠে আসল ঢাকা। শীতে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের চক্রে থাকা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শনিবার সকালে শীর্ষস্থান দখল করে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সকালে বিশ্বের পাঁচটি শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

এর মধ্যে ঢাকার বাতাস শনিবার সকাল ১০টায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠে। পরের দুই ঘণ্টায় ভারতের কলকাতা ও দিল্লির দূষণ কাছাকাছি থাকলেও তালিকায় সবার ওপরে দেখা যায় ঢাকাকে।বেলা ১২টার দিকে দেখা যায় ঢাকার বাতাসের গড় মান মাত্রা বা একিউআই ২৭৬। সকাল ১০টায় ঢাকার বায়ুমান ছিল ২৭৯, বেলা ১১টায় তা বেড়ে হয় ২৮১।

শনিবার ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় সবচেয়ে বেশি দূষণ হচ্ছে, এই এলাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘বিপজ্জনক মাত্রায়’ ওঠানামা করছে।বাতাসের এই মান নির্ভর করে এতে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর।

কোথায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ভাসমান পিএম ২.৫ এর পরিমাণ কত মাইক্রোগ্রাম, তার ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের স্কোর তৈরি করে থাকে বায়ুমান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো।একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়।

৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।একিউআই ১০১ থেকে ১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়। আর একিউআই ২০০ থেকে ৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ এর ওপরে চলে গেলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।

শনিবার বিশ্বের সবচেয়ে ভালো বাতাস পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোতে।দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা নিয়মিতই ওপরের দিকে থাকছে। বিশেষ করে শীতের সময়ে ঢাকার বাতাসের বিষ স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনছে। এই সময়ে হাসপাতালে রোগী বাড়ার সঙ্গে দূষণকেও দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ঢাকার দূষণ এখন এই অঞ্চলের শীতের তীব্রতাকেও প্রভাবিত করছে। দূষণের বিপদ এড়াতে বাইরে বের হলে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: