বিনোদন

এবার মাহির ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া

এবার মাহির ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া

বিয়ের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা রাকিবের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি। তার সঙ্গেও পাঁচ বছর সংসার করার পর তাকে ডিভোর্স দেন এই অভিনেত্রী।গেল শুক্রবার রাতে এই নায়িকা নিজেই ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের সংসার ভাঙনের খবর প্রকাশ করলে ভক্তরা অবাক হন।

অনেকেই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মাহিকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন। একাধিক বিচ্ছেদের ঘটনায় কেউ কেউ নায়িকার সমালোচনা করেন। মাহির বিচ্ছেদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে ঠিক তখনই এই নায়িকার পাশে দাঁড়ালেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

মঙ্গলবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শবনম ফারিয়া। সেখানে নায়িকা মাহির নাম উল্লেখ না করলেও স্ট্যাটাসটি যে তাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট।

>> রাকিবের সঙ্গে মাহির বিচ্ছেদ! (ভিডিও)

>> মাহির সংসার ভাঙার খবরে যা বললেন প্রথম স্বামী

>> মাহির বিচ্ছেদ, শুভ কাজ দ্রুত সারতে চান প্রথম স্বামী

>> প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর বিচ্ছেদের খবরে যা বললেন নায়িকা মাহি

>> মধ্যরাতে থানায় গিয়ে নায়িকা মাহির যে অভিযোগ

শবনম ফারিয়া বলেন, সবার পরিবার থাকে। পর্দার সামনে যারা কাজ করেন তারা কেউ সমাজ বা পরিবারের বাইরের না। ধরেন, কোনো কারণে আপনার বোনের সংসার টিকল না, আর আশপাশের মানুষ না জেনে তাকে আজেবাজে কথা বলছে, আপনার মায়ের কিংবা আপনার কেমন লাগবে?

বিশ্বাস করেন, সবার মা ভাই/বোনদেরও একই রকম লাগে।তিনি আরও বলেন, কাজের ধরনের জন্য আপনারা পর্দার সামনের মানুষদের চেনেন। কাউকে আপনাদের ভালো লাগে, কাউকে কম ভালো লাগে। কাউকে হয়তো ভালো লাগেই না। এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু একটা মানুষ তার কষ্টের কথা বলছেন, আর আপনার হাতে একটা ফোন আছে, তাই আপনি যা ইচ্ছা বলে দিলেন, এইটা খুব খুব খারাপ একটা প্র্যাকটিস।

শুধু শুধু কাউকে কষ্ট দেওয়া একটা অপরাধের সমান।মাহির ডিভোর্সের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে শবনম ফারিয়া লেখেন, এসব আর করবেন না প্লিজ, কারো কষ্ট কমাতে না পারলে কষ্ট বাড়ানোর কাজে ভূমিকা রাখবেন না। বিশ্বাস করেন, কেউ ইচ্ছা করে কারো সংসার ভাঙে না! যে যেই পেশাতেই থাকেন সবাই স্বামী/সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চান।