খেলাধুলা

শান্তর বেতন ৯ লাখ সাকিবের ৭ লাখ

আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে জায়গা পেয়েছেন মোট ২১ জন ক্রিকেটার। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিন ফরম্যাটেই জায়গা পেয়েছেন মোট ৫ জন ক্রিকেটার।তারা হলেন, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম।

তাদের প্রত্যেকেই তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পেলেও সব ক্যাটাগরি থেকে পূর্ণ অর্থ পাবেন না।গত বছরের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ৪ জন। একেবারে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন দু’জন। এছাড়া দু’জন ক্রিকেটার পুনরায় চুক্তিতে ফিরেছেন।বাদপড়া চারজন হলেন- তামিম ইকবাল, এবাদত হোসেন, আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন।

নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পাওয়া দু’জন হলেন- তাওহিদ হৃদয় ও তানজিম হাসান সাকিব। পুনরায় কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাওয়া দু’জন হলেন- নাঈম হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। টেস্ট ও ওয়ানডের চুক্তিতে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন শুধু ওয়ানডের চুক্তিতে। নাঈম হাসান নিয়মিত টেস্ট খেলায় তাকে টেস্ট চুক্তিতে যুক্ত করা হয়েছে। ভাগ্য খুলেছে মাহমুদুল হাসান জয়েরও।

এছাড়া গত এক বছর ধরে জাতীয় দলের রঙিন জার্সিতে নিয়মিত খেলা তাওহিদ হৃদয় প্রথমবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকেছেন। ওয়ানডে ও টি২০ চুক্তিতে আছেন তিনি। এছাড়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব কেবল ওয়ানডে চুক্তিতে আছেন।একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ প্রথম ক্যাটাগরি থেকে শতভাগ, দ্বিতীয় ক্যাটাগরি থেকে ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় ক্যাটাগরি থেকে ৪০ শতাংশ টাকা পাবেন।

শান্ত এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকায় টেস্ট থেকে পাবেন সাড়ে ৪ লাখ (শতভাগ), ওয়ানডে থেকে ২ লাখ (৫০ শতাংশ) ও টি২০ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার (৪০ শতাংশ)। পাশপাশি তিন ফরম্যাটে নেতৃত্বে জন্য আরও পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার (প্রত্যেক ফরম্যাটের জন্য ৪০ হাজার করে)। সব মিলিয়ে শান্তর মাসিক বেতনের পরিমাণ ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।শান্তর পর সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন সাকিব আল হাসান।

তার মাসিক বেতনের পরিমাণ ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়া ৫ লাখের বেশি বেতন পাবেন আরও ৫ ক্রিকেটার। তারা হলেন মুশফিকুর রহিম (৬ লাখ ৫০ হাজার), লিটন (৬ লাখ ৫ হাজার), তাসকিন (৫ লাখ ৭৫ হাজার) মিরাজ (৫ লাখ ৫০ হাজার), শরিফুল (৫ লাখ ৫০ হাজার)।সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন এসেছে। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে সরিয়ে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

নতুন নির্বাচক এখন পর্যন্ত কোনো কাজে হাত দেননি। তবে এর আগেই নির্বাচক হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, প্রধান নির্বাচক হিসেবে মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা বেতন পাবেন লিপু। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্যানেলের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ বেতনের রেকর্ড।সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু বেতন পেতেন মাসে ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো। নান্নুর সহকারী আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের বেতন ছিল প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো।

নান্নুর সঙ্গে একই সময়ে নির্বাচক প্যানেল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। খেলোয়াড়ি জীবনের পর ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজারসহ বেশ কয়েকটি দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে লিপুর। মাঝে প্রায় এক দশক বোর্ডের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন না তিনি। প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিয়ে বিসিবিতে আবার ফিরলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতনের পরিমাণ:

নাজমুল হোসেন শান্ত- ৯ লাখ ১০ হাজার

সাকিব আল হাসান- ৭ লাখ ৯০ হাজার

মুশফিকুর রহিম- ৬ লাখ ৫০ হাজার

লিটন দাস- ৬ লাখ ৫ হাজার

তাসকিন আহমেদ- ৫ লাখ ৭৫ হাজার

মেহেদি হাসান মিরাজ- ৫ লাখ ৫০ হাজার

শরিফুল ইসলাম- ৫ লাখ ৫০ হাজার

মুমিনুল ইসলাম- ৪ লাখ ৫০ হাজার

তাইজুল ইসলাম- ৪ লাখ ৫০ হাজার

মাহমুদউলাহ রিয়াদ- ৪ লাখ

মুস্তাফিজুর রহমান- ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০

তাওহিদ হৃদয়- ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০

হাসান মাহমুদ- ২ লাখ

নুরুল হাসান সোহান- ১ লাখ ৭৫ হাজার

মাহমুদুল হাসান জয়- ১ লাখ ৭৫ হাজার

খালেদ আহমেদ- ১ লাখ ২৫ হাজার

নাঈম হাসান- ১ লাখ ২৫ হাজার

নাসুম আহমেদ- ১ লাখ ২৫ হাজার

শেখ মেহেদি- ১ লাখ

তানজিম সাকিব- ১ লাখ টাকা।

%d bloggers like this: