20 January 2024 , 5:31:03 প্রিন্ট সংস্করণ
সাকিবের রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে তামিমের বরিশাল। লক্ষ্য ছিল বেশ কম, ১৩৫ রানের। কিন্তু এই লক্ষ্য তাড়া করতেও শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে ফরচুন বরিশালকে। যদিও ম্যাচে কখনই এমন উত্তেজনা ছিল না যে, দুই দলই জিততে পারে। বরিশালই সহজ জয়ের পথে ছিল সবসময়।
রান তাড়ায় নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান (১৬ বলে ১২)। তবে তামিম ইকবাল রান পেয়েছেন। ২৪ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন বরিশাল অধিনায়ক। সৌম্য সরকার ২ বলে ১ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন। ওয়ান ডাউনে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ১৮ বলে ২০।
ধীরগতিতে খেলে দলকে অনেকটা এগিয়ে দিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ২৭ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর শোয়েব মালিকের ১৫ বলে ২৫ রানের জুটিতে জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়ে বরিশাল। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ। ১১ বলে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। শোয়েব ১৮ বলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।
রংপুরের সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। হাসান মুরাদও সমান ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৭, নেন ২টি উইকেট। এর আগে রংপুর রাইডার্সকে ১৩৪ রানেই আটকে দেয় ফরচুন বরিশাল। দুই দেশীয় বোলার খালেদ আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজের তোপে এই রান তুলতে ৯ উইকেট হারায় রংপুর।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় রংপুর। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইমরানের বলে গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) মেরে সাজঘরে ফেরত যান রংপুর ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। ১৫ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় উত্তর অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।সাকিবকে ২ আর রনি তালুকদারকে ৫ রানে ফেরান খালেদ।
৯ বলে ৬ রান করা আফগানি ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান লঙ্কান বোলার দুনিথ ওয়াল্লালাগে। ৮৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় রংপুর।শেষদিকে যদি শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৩৩ বলে ৩৪ রান আর শেখ মেহেদী ১৯ বলে ২৯ রান না করতেন, তাহলে হয়তো ১১০ রানের আগেই রংপুরের ইনিংস শেষ হতো।
বরিশালের হয়ে খালেদ আহমেদ ৩১ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।