আন্তর্জাতিক

বিধ্বস্ত হয় ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুই কারণে

চলতি বছরের মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি। এতে দুর্ঘটনার পেছনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত যাত্রীর ওজন- এই দুটি কারণকে দায়ী করা হয়েছে। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।

চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে দুটি কারণ শনাক্ত হয়েছে। একটি হলো হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের জন্য আবহাওয়া উপযুক্ত ছিল না। এছাড়া হেলিকপ্টারটিতে সক্ষমতার চেয়ে অন্তত দুজন যাত্রী বেশি ছিলেন। এর ফলে সেটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। এর আগে গত মে মাসে সেনাবাহিনীর একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

সেখানে বলা হয়েছিল, দুর্ঘটনার পেছনে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ বা হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই না। গত ১৯ মে দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার।

এ সময় হেলিকপ্টারে তিনি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি ও এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে ২৩ মে প্রথম দেশটির সেনাবাহিনী প্রতিবেদন দাখিল করে।

এতে বলা হয়, হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষে গুলি বা বুলেটের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের ঢালে আঘাতের কারণেই বিমানে আগুন ধরে যায় বলেও নিশ্চিত করেন তদন্তকারীরা।