জাতীয়

দেশে আবারও বাড়ল ডলারের দাম

দেশে আবারও বাড়ল ডলারের দাম

দেশে আবারও দেখা দিয়েছে নগদ ডলারের সংকট। তীব্র এই সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোয় ডলার মিলছে না। ফলে নগদ ডলারের দাম আবারও বেড়ে গেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু রাজধানীর খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকার মধ্যে। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে মেঘনা ব্যাংক নগদ ডলার সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা করে বিক্রি করছে। বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ১১২ টাকা করে বিক্রি করছে। আল আরাফাহ ব্যাংক ১১১ টাকা ৭৫ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১১১ টাকা ৬০ পয়সা, আইএফআইসি, সিটি ব্যাংক এনএ, এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করছে। বর্তমানে ডলার বিক্রির গড় দাম ১১০ টাকা ৮০ পয়সা। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, রূপালী ব্যাংক ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছে।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, নগদ ডলার সরবরাহ থাকলে বিক্রি করা হয়। এখন কেউ আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করছে না, এ জন্য আমরাও দিতে পারছি না। তবে মাঝেমধ্যে কেউ বিক্রি করলে আমরা তা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছি। আমরা ডলার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করছি।এদিকে কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার কোথাও কোথাও ১২০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। তবে গড়ে ১১৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকার মধ্যেই বেশির ভাগ ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম জামান বলেন, ডলারের সরবরাহ নেই, এ জন্য বিক্রিও করতে পারছি না। কিছুদিন আগে সরবরাহ পেয়েছিলাম, তখন ১১২ টাকা দামে বিক্রি করেছি।উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে সংকটের সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দর সর্বো ১২১ টাকায় উঠেছিল।

এরপর ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠনকে (এবিবি) ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়। পাশাপাশি নগদ ডলারের দামও নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।