জাতীয়

বৈঠকে বসবে কমিশন সাবেক সিইসি-ইসি-সচিবদের সঙ্গে

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের কর্মশালা হবে। ৪ অক্টোবর এই কর্মশালা হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান এই তথ্য জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি বলেন, ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির বিভিন্ন মহলের অভিযোগসহ কালোটাকা ও পেশি শক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যাহত হয় বলে অনেকের ধারণা। এটা কখনো প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য একজন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।’

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এমন বাস্তবতার আলোকে “অবাধ ভোটাধিকার – প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা” বিষয়ে একটা কর্মশালা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশ নেবেন।’

এই নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, এতে কিছু প্রশ্ন/বিষয়ের ওপর আলোচনার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।

তা হলো-

ক) নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে?

খ) পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে?

গ) নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন?

ঘ) প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন?

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হলো- আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং সর্বসাধারণ, বিশেষত ভোটার সাধারণ, রাজনীতিবিদ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রার্থীদের গণমাধ্যমের বদান্যতায় তা জানানো।