জাতীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যা করা সম্ভব তাই করবে অন্তর্বর্তী সরকার

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার।

 

গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে আওয়ামী সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় ব্যাপক চ্যালেঞ্জের কবলে পড়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের পক্ষে দেশ পরিচালনাও ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকার যা যা করা দরকার তাই করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।

সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আস্র পর থেকেই অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে হাজারের বেশি হত্যা ও দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো উদ্বেগ আছে কিনা? প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক এবং মানবিক দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তারা আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার অনুসরণ করে যা যা করা সম্ভব তাই করবে বলে আমাদের আশা।

এ সময় বাংলাদেশের বন্যা প্রসঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ দল বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং খাবার সরবরাহ করছে। ইতিমধ্যে সাত লাখ মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।