18 February 2024 , 4:31:55 প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ডেমড়া কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী ফজুর বাড়ি মোড়ের এক ব্যবসায়ীর বালুর পানিতে কর্দমাক্ত থাকে সারা বছর। একদিকে যাতায়াতের ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে বালুর পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন সড়কের কাজ।অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা পুলিশ, সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি এভাবে কর্দমাক্ত থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেননি।
এদিকে সড়কটি নির্মাণে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলমান থাকলেও রহস্যজনক এ অংশে ঢিলেঢালা কাজ করছেন এলজিইডি সংশ্লিষ্টরা। এতে ভোগান্তি কাটছে না এ সড়কে যাতায়াতকারীদের। এছাড়াও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গ্রামের লোকজনের প্রবেশের অন্যতম সড়ক এটি।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ডেমড়া কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী ফজুর বাড়ি মোড়ের স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মিয়া তার বালির স্তুপ করেছেন সড়কের পাশে। তার অধীনে প্রতিদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বালিবাহী কার্গোর পাইপে বালি আনলোড করেন।
এতে বালির সাথে মিশে আসে পানি। এসব পানি জমে বালির সাথে মিশে সড়কটি অচল হয়ে থাকে। বর্ষাকালে এ সংকট হয় আরও ভয়াবহ। স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা জানায়, এ সড়কটি গত ৭ বছর ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তি ছিলো চরমে। এখন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু বালির পানির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত বালি ব্যবসায়ী হোসেন মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
তবে বালির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আলী আকবর বলেন, বালির পানি গেলে সড়ক বন্ধ হয় না। গাড়ী তো চলতেছেই। এটা কোন সমস্যা না।জাঙ্গীর এলাকার অটো চালক মনির হোসেন বলেন, আমরা এ সড়কে চলাচল করতে পারিনা। চাকা ফেসে যায়। বড় বড় ট্রাক চলে। সেসবও উল্টে যায়। প্রতিদিন এ মোড়ে সিএনজি বা অটো উল্টে যাত্রী আহতের ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদ মোরশেদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি।
ওখানে কর্মকর্তা পাঠিয়ে দ্রুত সড়ক চলাচল উপযোগী করে দেব।এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই সবকিছু জানা হয়নি। সড়ক চলাচল করতে লোক পাঠাবো।