সারা দেশ

গায়ে আগুন লাগানোর ৪ দিন পর যবিপ্রবির বাস চালকের মৃত্যু

গায়ে আগুন লাগানোর ৪ দিন পর যবিপ্রবির বাস চালকের মৃত্যু

গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ৪ দিন পর মারা গেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জ্যেষ্ঠ বাস চালক মফিজুর রহমান। সোমবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মফিজুর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।

মফিজের আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভিন্ন দাবি করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছ, গত ২৯ ডিসেম্বর যবিপ্রবির বাস চালক মফিজুর রহমান নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালক ও সহকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলামের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে জ্যেষ্ঠ বাস চালক মফিজুর রহমান গায়ে আগুন লাগিয়েছে।

বাস চালক জহুরুল ইসলাম, জুয়েল আহমেদ ও গোলাম মোস্তফা লাল্টু ৩০ ডিসেম্বর প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলামের নামে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের একাংশে বলা হয়, মফিজুর রহমানকে বিনা অপরাধে গাড়ি থেকে নামিয়ে অফিসের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ক্ষোভে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি ঘটনার পর নিজের স্ত্রীকে বলেছেন ‘আমার যদি কিছু হয় তুমি যানবাহন কর্মকর্তা ও পরিবহন প্রশাসকের নামে মামলা করবে।

এই বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ড্রাইভার মফিজুর রহমান একজন হেলপারের স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে লাপাত্তা হন। শুনেছি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব নিয়ে তিনি অন্য মনস্ক থাকতেন। গাড়ি চালানোর মত মানসিক অবস্থা তার ছিলোনা। তাকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না এই ধরনের কথা বা চিঠি আমরা দেইনি।

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশে আপাতত মফিজকে অফিসের কাজে দায়িত্ব দেয়া হয়। অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ সঠিক না।এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার আহসান হাবীবের মুঠোফোনে কল করা হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলবেন না বলেন জানান। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।