বিনোদন

লোকজনকে খাওয়াতে পছন্দ করি বললেন নুসরাত ফারিয়া

লোকজনকে খাওয়াতে পছন্দ করি বললেন নুসরাত ফারিয়া

চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া কুমিল্লার মেয়ে। তার কাছে ওই অঞ্চলের মানুসের গুণের কথা জানতে চাইলে বলেন, কুমিল্লার মানুষ অনেক বেশি মেহমানদারি করতে পারে। আমাদের রান্না খুব মজার হয়। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না পারি। আমার মা আমাকে পিটিয়ে রান্না শিখিয়েছে।আমি মনে করি, ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, যারা খেতে পছন্দ করে তাদের রান্না শেখা উচিত।

আমি রান্না করতে পছন্দ করি, লোকজনকে খাওয়াতে পছন্দ করি। আমার রিটায়ার্ডম্যান্টের প্ল্যান হচ্ছে, আমি রেস্তোরাঁ খুলে মানুষকে খাওয়াব। আমার খুব ভালো লাগে মানুষকে খাওয়াতে। কালবেলার সাপ্তাহিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘তারাবেলা’র দ্বিতীয় পর্বে অতিথি হয়ে এসব কথা বলেন নুসরাত ফারিয়া।শুধু ভোজনরসিকই নন, বেশ ভ্রমণপিপাসুও এই নায়িকা। বললেন, মাঝেমধ্যে আমি ইস্তানবুল চলে যাই ঘুরতে। কলকাতায় আমার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে সেখানে সময় কাটাই।

আমি বাইরে সময় কাটাতে পছন্দ করি। আমি এ বছর মনে হয় ছটা ট্রিপ দিয়ে ফেলেছি। আমি ভ্রমণ পছন্দ করি। একা একা ভ্রমণ করতে পারি। আমি অনেক সময় একা একা ভ্রমণ করেছি। খেতেও পছন্দ করি। কোনো নতুন জায়গায় গেলে সেখানে নতুন কি কি ব্রেকফাস্ট আছে সেগুলো আমি খেয়ে দেখি। মজার খাবারগুলো চোখে দেখি।নায়িকার যাপিতজীবনের নানা ফিরিস্তির মাঝে তারাবেলার আলাপে উঠে আসে তার ফেলে আসা প্রেমের স্মৃতিও।

দীর্ঘদিনের প্রেমের ইতি টেনেছিলেন এই নায়িকা। সেই রহস্য বর্ণনায় নুসরাত বলেন, কোনো রহস্য নেই আসলে। আমার মনে হয় দুটো মানুষ যখন একসঙ্গে থাকে তখন সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতা একটা নিয়ম তৈরি করে যে, কারও সঙ্গে অনেক বছর ধরে থাকলে তার সঙ্গেই থাকতে হবে।কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্কটা এ রকম যে, ভালোবাসাটাকেই বেঁচে থাকতে হবে। শুধু ৯-১০ বছর ধরে একজনের সঙ্গে আছি বলেই যে তার সঙ্গে থাকতে হবে, ভালোবাসা না থাকলেও থাকতে হবে, আমি এটাই বিশ্বাসী নই।

যে কোনো সম্পর্কেই যদি কেউ হ্যাপি না থাকে, ওই সম্পর্কটি কখনোই বেশিদিন টেকে না। ওটা একটা মৃত সম্পর্ক। সম্পর্ক থেকেও মৃত।তাই আমার কাছে মনে হয়—আমার মতো একজন জীবন্ত মানুষ কেন একটা মৃত সম্পর্কে থাকবে! ঘরে ফিরে যদি মনে হয় আমি জেলখানায় ফিরছি, সেই সম্পর্কের কোনো মানে নেই। তার চাইতে আমি বাইরে থাকব, নিজের মতো করে থাকব অথবা সীমিতভাবে থাকব, সেটা আমার নিজের মতো থাকা হবে। আমার কাছে মনে হয় যে ভালোবাসা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের সম্পর্কের একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা দুজন মানুষ আলাদা আলাদা কিছু চাইতে শুরু করি। তাই আমরা পৃথক।নিজের প্রেমের বিষয়ে নুসরাত ফারিয়া আরও বলেন, আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই প্রেম করি। এবারই লাস্ট আমি এত মাস ধরে সিঙ্গেল। প্রায় দশ মাস হয়ে গেছে আমি আমার জীবনে সিঙ্গেল। আমি আমার সারা জীবনে কখনো সিঙ্গেল ছিলাম না। বোঝার পর থেকেই আমি সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলাম।প্রেমের আসলে কোনো সংজ্ঞা বা ব্যাকরণ নেই।

এটা একমাত্র ওই যে দ্য বিগেস্ট রাইটার অব দ্য ওয়ার্ল্ড, যিনি লিখছেন তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। তিনি আমাদের সুযোগ দেবেন, সেটা আমরা কাজে লাগাব কি লাগাব না, সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যাপার। তুমি যদি মিস করো তাহলে তোমার মিস। আর যদি কাজে লাগাতে পারো তাহলে হিট।তিনি আরও বলেন, আসলে আমি কারও মধ্যে নেগেটিভ কিছু দেখি না। কেউ যদি আমাকে নিয়ে নেগেটিভ কথা বলে আমি তাকেও ভালোভাবে ট্রিট করি। এটাই আমি।