2 December 2023 , 4:35:09 প্রিন্ট সংস্করণ
শসা খুব পরিচিত সবজি। প্রায় সারা বছর ধরেই এটি পাওয়া যায়। সালাদ ছাড়াও শসা এমনিতে খাওয়া যায়। অনেকে এর তরকারি খায়। এর ক্যালরি খুব কম। ১০০ গ্রাম শসায় থাকে ১৩ ক্যালরি। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে শসা খাওয়ার পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলে উপকার হয়।
সাধারণত বছরের সেরা খাবারগুলো পাওয়া যায় এই শীতকালে। বিয়ে, বনভোজন, পর্যটন, চড়ুইভাতির মতো সব আয়োজন শীতকাল ঘিরেই বেশি হয়। এই সুযোগে খেদ মিটিয়ে খেয়ে নেন ভোজনরসিকেরা। আর এসব খাবার থেকে শরীরে জমা হয় টক্সিন। বেড়ে যায় ওজন। শসা খেলে এই টক্সিনের মাত্রা কমে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শসায় প্রচুর পরিমাণে পানিসহ ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শরীর ডিটক্সিফাই করে : শসায় যে পানি থাকে তা মানবদেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়ুর মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে : প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এ তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক : শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ওজন কমাতে শসা আদর্শ টনিক। শীতে স্যুপ, সালাদ ও নুডলস বেশি খাওয়া হয়। আর এতে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করলে ভালো। শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
চোখের জ্যোতি বাড়ায় : রূপচর্চার সময় অনেকে শসা গোল করে কেটে দুই চোখের ওপর দিয়ে রাখেন। কারণ এটা করলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে দেয় শসা। আর চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে এটি। চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
চুল ও নখ সতেজ করে : শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা চুল ও নখ সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল—এ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।