27 November 2023 , 2:02:46 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে এক ধরনের ধাতব বল পাওয়া গেছে। অদ্ভুত রাসায়নিক গঠনের মাধ্যমে এই বলগুলো গঠন হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এগুলো এলিয়েন প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অভি লিয়বও একই দাবি করেছেন। এদিকে এই দাবির সত্যতা নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে।
তাহলে, প্রশান্ত মহাসাগরের নীচ থেকে আবিষ্কৃত ধাতব বলগুলো আসলে কী? শিকাগো ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো প্যাট্রিসিও গ্যালার্ডো এসব ধাতবের পদার্থের কয়লা ছাইয়ের রাসায়নিক পদার্থ বিশ্লেষণ করে বলেছেন,এগুলো এক ধরনের বর্জ্য যা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাষ্প ইঞ্জিন থেকে ফেলে দেয়া বা পুড়ে যাওয়া কয়লার অংশবিশেষ।
চলতি বছরের জুলাইয়ে হার্ভাডের কম্পিউটেশনাল-অ্যাস্ট্রোফিজিকস স্টোরের পরিচালক অভি লিয়ব লোয়েব বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরের নীচ থেকে যে গোলাকার ধাতব পদার্থগুলো ড্রেজ করে বের করা হয়েছে তা মূলত ২০১৪ সালে পৃথিবীর কাছে বিস্ফোরিত কোন উল্কা থেকে পড়ে গেছে। বিজ্ঞানী সম্প্রদায়ের অনেকে বলেন, লিয়ব খুব সাহসীভাবে কিন্তু তাড়াহুড়ো করে এ ধরনের কথা বলছেন।
এখন এই রহস্যময় বলগুলো নিয়ে আরো সরল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এগুলো আর কিছুই নয় পুড়ে যাওয়া কয়লার অবশিষ্টাংশ। শিকাগো ইউনিভার্সিটির গবেষক এ বিষয়ে তার বক্তব্যে কোয়ালইকুয়াল নামে কয়লা কেমিক্যালের একটি ডাটাবেজ ব্যবহার করেছেন।
গবেষণায় তিনি বলেছেন, লোয়েব এবং তার সহকর্মীরা গোলাকার ধাতব বলগুলোয় যে লোহা, নিকেল, বেরিলিয়াম, ল্যান্থানাম এবং ইউরেনিয়ামের ঘনত্ব ‘কয়লা রাসায়নিক ডাটাবেসে কয়লা ছাইয়ের ঘনত্বের’ মতোই। এখানে উল্কার কোনো বিষয় নেই। এদিকে গ্যালার্দোর বিশ্লেষণটি একটি জার্নালে প্রকাশ হয়েছিলো যার কোন পিয়ার রিভিউ নেই।