জাতীয়

এবার অফিস-বাসার এসি খুলে নিলেন বাহুবল থানার ওসি

এবার অফিস-বাসার এসি খুলে নিলেন বাহুবল থানার ওসি

বদলির পর হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান থানায় লাগানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গেছেন।গত ৭ আগস্ট পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওসি রাকিবুল ইসলাম খানকে প্রথমে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পরে মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়।

বদলীর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী এমপির সরকারি অনুদানের টাকায় বরাদ্দ দেওয়া বাহুবল মডেল থানায় লাগানো এসিটি খুলে নিয়ে যান ওসি রাকিবুল ইসলাম খান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানায় যোগদান করা নতুন ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমি সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি। যোগদানের পর অফিসে এবং বাসায় কোনো এসি পাইনি। সরকারি অনুদানে কোনো এসি ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আমি সরকারি বরাদ্দকৃত এসি আমি অফিসের জন্য দিয়েছি। কিন্তু সাবেক ওসি তা খুলে নেবে কেন? গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও অফিসে চা চক্রের এক পর্যায়ে বিষয়টি এমপির নজরে দিলে তিনি এসি খুলে নেওয়ার ঘটনা শুনে রাগান্বিত হন এবং রাকিবুলের প্রতি ভৎর্সনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক এম রশিদ আহমেদ, যুবলীগের জাবেদ, নুরুল ইসলাম নুর ও নতুন ওসি মশিউর রহমান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসি খুলে নেওয়া সাবেক ওসি রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অফিসে কোনো এসি ছিল না এবং বাসারটা ছিল আমার নিজের।

অথচ থানার ওসির অফিসকক্ষে এসি লাগানোর ছবি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং খুলে নেওয়ারও আলামত বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করলেন কেন? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অফিসে এসি তো ছিল।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন।এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়ে যায়।গত ২৫ আগস্ট থানার জিনিসপত্রগুলো ওসির কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content