8 October 2023 , 1:14:56 প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেশে মেঘমুক্ত আকাশ দেখা যাবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এক সপ্তাহের মাথায় আরেক দফা বৃষ্টির দাপট দেখা যেতে পারে।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, বর্ষার শেষ সময়ে এসে অক্টোবরে সপ্তাহ ধরে যে ভারি বর্ষণ হচ্ছিল তা কমে আসছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার পাশাপাশি লঘুচাপের প্রভাবে এমন অতি ভারি বর্ষণ হচ্ছিল।
তবে ১২ অথবা ১৩ অক্টোবরের পর আরেক দফা বৃষ্টির দাপট শেষে বর্ষার বিদায় ঘটবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।এদিকে টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের পর ঢাকায় রোদের দেখা মিললেও রাজধানীর বাইরের বৃষ্টি থামেনি। শনিবার দেশে সর্বোচ্চ ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে সিলেটে। এতে নগরের অর্ধশতাধিক এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাদামবাগিছা এলাকার সাহেদা বেগম বলেন, একটু ভারি বৃষ্টি হলে বাসার ভেতর পানি ঢুকে। এ জন্য কিছু দিন পরপর বাসার জিনিসপত্র ওপরে তুলতে হয়। বৃষ্টিতে আজ ভোরে বাসার ভেতরে পানি ঢুকে। প্রায় হাঁটু মান পানি; তখন সবাইকে ঘুম থেকে জেগে জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। যদিও খাটগুলো ছিল পানির নিচে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরাণ, কুয়ারপাড় উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরসহ সিলেট নগরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই অক্টোবরেই ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৪৭৬ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহে ৩৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে একটি লঘুচাপ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।