27 September 2025 , 6:43:25 প্রিন্ট সংস্করণ
আমনক্ষেতে পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মাঠে নেমেছে কৃষি কর্মকর্তারা। বুধবার রাতে উপজেলার ২৪ টি ব্লকের মধ্যে অন্তত ২০টিতে আলোক ফাঁদ পেতে পোকা সনাক্ত করেছেন তারা। এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন মাঠে পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতিতে গাছের ডাল, বাঁশের আগা, কুঞ্চিসহ বিভিন্ন ডালপালা পুঁতা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের ভাষ্য, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর আমনক্ষেতে মাজরা, পর্চাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। যা মোট জমির শূণ্য দশমিক দুই শতাংশ। তবে বর্তমানে পোকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম।
বুধবার সন্ধায় উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, চাপড়া, বাগুলাট, নন্দলালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খুঁটির সঙ্গে ঝুলছে বৈদ্যুতিক লাঠি। তার নীচে পানি ভর্তি পাত্র। সেখানে বিভিন্ন পোকা উড়ে এসে পড়ছে। এ সময় যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে ধানের চাষ চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও গরমের কারণে মাজরা পোকার আক্রমণ করেছিল। তবে তিনবার স্প্রে করার পর এখন অনেকটা ভাল। শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের কৃষক আবু মোতালেব বলেন, কৃষি অফিসার এসে জমিতে গাছের ডাল ও কুঞ্চি পুঁতে দিয়েছে। বিভিন্ন পাখি সেখানে বসে ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে। এতে ফসলের উপকার হচ্ছে।
পান্টি ইউনিয়নের পূর্বাশা মাঠের কৃষক সুবাহান শেখ বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ৪৯ জাতের ধানের চাষ করেছি। এবার পোকার আক্রমণ বেশি। রাতে কৃষি কর্মকর্তারা আলোর ফাঁদ পেতে বলল মাঠে তেমন ক্ষতিকর পোকা নেই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৪ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। জমির ইজারা, বীজ, সার, চাষ ও পরিচর্যা বাবদ প্রতি বিঘায় খরচ লেগেছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। যা মোট জমির প্রায় শূণ্য দশমিক দুই শতাংশ বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধায় অন্তত ২০টি কৃষি ব্লকে আলোক ফাঁদ পেতে পোকা সনাক্ত করা হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত শঙ্কা মুক্ত।











